পরিবারতন্ত্র নিয়ে বরাবরই কংগ্রেসকে বিঁধে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসকেও বারংবার এই নিয়ে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই আবহে নিজের দলে কোনও ভাবেই পরিবারতন্ত্রের ছায়া চান না মোদী। চার রাজ্যে জয়ের পর আজ বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় সাংসদদের এই নিয়ে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়ে দেন দলের নেতা হলেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা টিকিট পাবেন, এমনটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কোনও বিজেপি নেতার সন্তানেরা যদি টিকিট না পেয়ে থাকেন তাহলে তার দায় আমার।’ পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধআনমন্ত্রী প্রসংশা করেছেন যেভাবে বিজেপি পরিবারতন্ত্রকে দূরে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে উদ্ধারকাজের সময় কোনও বিবরণ বা পরিসংখ্যান ছাড়াই যে ভাবে লোকেরা রাজনীতি করেছিল সে বিষয়টি এদিন উত্থাপিত করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী... এবং পোল্যান্ড কীভাবে আমাদের নাগরিকদের সাহায্য করেছে সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন।’
উল্লেখ্য, এবার গোয়ায় পানাজি আসনে বিজেপির টিকিট চেয়েও পাননি গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পরিক্করের পুত্র। এদিকে সাংসদ রীতা বহুগুণার ছেলে বিজেপির টিকিট না পেয়ে সমাজবাদী পার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। ছেলেকে বিজেপির টিকিট পাওয়া রীতা বহুগুণা তো সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তাবও করেছিলেন। তবে কিছুতেই কিছু হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতেও পরিবারতন্ত্র নিয় কিঞ্চিত অস্বস্তি ছিল। তবে বিজেপি প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিল যে পরিবারের কেউ কোনও পদে থাকলে তার পরিবারের কেউ এমনি এমনি টিকিট পাবেন না। রাজনাথ সিংয়ের পুত্র যদিও টিকিট পেয়েছেন এবারও। তবে তিনি উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকেও আগেও বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু শুধুমাত্র পরিবারের কারোর দয়াতে বিজেপিতে যে টিকিট আর মিলবে না, তা আরও একবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেন মোদী।