দিল্লিতে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির মূর্তি উন্মোচন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি রাজপথের নাম পাল্টে ‘কর্তব্য পথ’ এরও উদ্বোধন করেন তিনি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি উন্মোচন উপলক্ষ্যে তিনি বীর বিপ্লবী সম্পর্কে একাধিক বক্তব্য রাখেন মোদী। উঠে আসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তি প্রসঙ্গে নানান বক্তব্য। দেখে নেওয়া যাক নরেন্দ্র মোদী তাঁর বক্তব্যে কী কী বলেছেন।
‘ঔপনিবেশিকতার প্রতীক কিংগসওয়ে এবার ইতিহাস হতে চলেছে। আর তা মুছে যাবে চিরকালের জন্য। একটি নতুন যুগ তৈরি হবে কর্তব্য পথের হাত ধরে। ঔপনিবেশিকতার প্রতীক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমি দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই ।’ এই ভাবেই এদিন উদ্বোধনী ভাষণে বক্তব্য শুরু করেন মোদী। (বিস্তারিত আসছে)
‘বিগত ৮ বছরে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ছাপ রয়েছে।' বলার পরই মোদী বলেন,' তিনিই (নেতাজি) ছিলেন অখণ্ড ভারতের পথিকৃত ’। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (নেতাজি) আন্দামান নিকোবরে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ’
‘আজ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি বড়সড় মূর্তি ইন্ডিয়া গেটের সামনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের সম, ব্রিটিশদের প্রতিনিধির মূর্তি এখানে ছিল। নেতাজির মূর্তি বসানোর পর আমরা শক্তিশালী ভারতের একটি নতুন রাস্তা প্রতিষ্ঠা করেছি।’ এই বক্তব্য রাখেন মোদী।
‘দেশ পাল্টেছে বহু এমন আইন যা ব্রিটিশ যুগ থেকে এদেশে চলে আসছিল।’ এই বক্তব্য রেখে দেশে বিভিন্ন খাতে পরিবর্তনের তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে যুব সমাজ মুক্তি পেয়েছে বিদেশী ভাষা শিক্ষার বাধ্যতা থেকে।’
এদিন দিল্লির রাজপথের নাম পাল্টানো প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘রাজপথ ছিল ব্রিটিশদের জন্য, যাঁদের কাছে ভারতীয়রা ছিলেন দাস।’ এরসঙ্গেই তিনি বলেন,' এটা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রতীক ছিল।' একইসঙ্গে তিনি বলেন, এর আর্কিটেকচার পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে এর বহু পরিবর্তন ঘটেছে।