শনিবার সকালে তাঁর বাসভবনের নতুন সদস্যের সঙ্গে দেশবাসী তথা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার নাম 'দীপজ্যোতি'! তবে, দীপজ্যোতি কোনও মানব সন্তান নয়। সে হল, একটি ছোট্ট সুন্দর গোশাবক!
শনিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে তাকে নিয়ে একাধিক পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টগুলিতে রয়েছে একাধিক ছবি। রয়েছে ভিডিয়োও। এইসব ছবি এবং ভিজিয়োয় দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নানা সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।
ছোট্ট দীপজ্যোতিকে কখনও প্রধানমন্ত্রী আদর করছেন, কখনও তার কপালে এঁকে দিচ্ছেন সস্নেহ চুম্বন, কখনও আবার তার সঙ্গে একেবারে ছোটদের মতোই খুনসুটি আর খেলায় মেতে রয়েছেন দেশের প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষটি!
স্বাভাবিকভাবেই এমন একটি ভিডিয়ো এবং সঙ্গে থাকা ছবিগুলি নেট নাগরিকদের মন জয় করে নিয়েছে। তাঁরা নিজেদের মতো করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের এই নয়া সদস্যকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত যে পোস্টগুলি করা হয়েছে, তার মাধ্যমেই জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের বাসিন্দা একটি গরু এই শাবকের জন্ম দিয়েছে। তার কপালে প্রদীপের শিখার মতো চিহ্ন থাকাতেই তার নাম রাখা হয়েছে 'দীপজ্যোতি'।
রাষ্ট্রনেতাদের পশুপ্রেম নতুন কিছু নয়। বিশ্বের অনেক তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানেরই পোষ্য রয়েছে। মার্কিন মুলুকের হোয়াইট হাউস হোক, কিংবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন - সর্বত্রই দেখা গিয়েছে এক ছবি। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পোষ্য় হিসাবে বিড়াল বা কুকুরই বেশি পছন্দ করেন প্রশাসনের শীর্ষে থাকা মানুষগুলি। এক্ষেত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নতুন সদস্য কিছুটা ব্যতিক্রমী তো বটেই।
মোদীর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ ভালোই দিন কাটছে ছোট্ট দীপজ্যোতির। তার হাঁটাচলা, খেলাধুলো, আদর খাওয়া দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, মহা আনন্দে আছে গোশাবকটি।
দীপজ্যোতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তগুলি ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শনিবার দুপুর সোয়া দু'টো পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি মানুষ এই ছবিগুলি 'রিপোস্'ট করেছেন। 'লাইক' করেছেন ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর ছবিগুলিতে 'ভিউ' করা হয়েছে লক্ষ-লক্ষ!
এর থেকেই স্পষ্ট, আমজনতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনের এই নয়া সদস্যের ছবি দেখে কতটা আপ্লুত! পশুপ্রেমীদের মতে, রাষ্ট্রনায়কদের এই ধরনের আচরণ সাধারণ মানুষের মনেও পশু, পাখির প্রতি প্রেম ও ভালোবাসার জন্ম দিতে সাহায্য করে।