আদানির সঙ্গে তাঁর 'যোগ' নিয়ে দুই দিন আগেই লোকসভায় গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই এই নিয়ে উত্তাল সংসদ। এই আবহে আজ রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময়কালেও ঝড় তুললেন বিরোধী সাংসদরা। আজ নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার সময় বিরোধীরা স্লোগান তোলেন, 'আদানি পর কুছ তো বোলো', 'আদানি গোলামি বন্ধ করো'। যদিও সেই সব রেকর্ডে যায়নি। এরই মাঝে আজ আদানির কোনও উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন, 'কারও কারও ভাষা, আচরণ ভারতের জন্য হতাশাজনক।'
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সকল যোগ্য সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি আমাদের সরকার।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'রাষ্ট্রপতি বিকশিত ভারতের দর্শন তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ওদের কাছে কাদা ছিল, আমার কাছে আবীর ছিল। যাদের কাছে যা ছিল, তারা সেটাই ছুড়ে দিয়েছে। আমি এই বিরোধী সাংসদদের বলতে চাই...যত কাদা ছুড়বেন পদ্ম ততো ভালো ভাবে ফুটবে।'
এদিন মোদী নিজের সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, 'যুগ যুগ ধরে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন উপেক্ষিত ছিল। আমরা তাদের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি... দেশের মানুষ বারবার কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করছে। মানুষ তাদের দেখছে এবং শাস্তি দিচ্ছে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেশের ১১০টি উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাকে চিহ্নিত করেছি। দৃঢ়তা এবং কর্মক্ষমতা পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে এই জেলাগুলিতে শিক্ষা, অবকাঠামো এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। এতে উপকৃত হয়েছে ৩ কোটিরও বেশি আদিবাসী।'
কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে নরেন্দ্র মোদী এদিন বলেন, 'কংগ্রেস বলত, 'গরীবি হটাও'। কিন্তু বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কিছুই করেনি তারা। দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। আমাদের অগ্রাধিকার হল সাধারণ জনগণ। এবং এই কারণেই আমরা দেশের ২৫ কোটি পরিবারকে এলপিজি সংযোগ দিয়েছি।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তাদের (কংগ্রেস) দায়িত্ব ছিল সমস্যার সম্মুখীন হওয়া নাগরিকদের সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু তাদের অগ্রাধিকার ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ছিল। নাগরিকরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।' মোদী এদিন আরও বলেন, 'প্রযুক্তির শক্তিতে আমরা কর্মসংস্কৃতিকে বদলে দিয়েছি। আমাদের ফোকাস গতি বৃদ্ধি এবং এর পরিসর বর্ধিত করা হচ্ছে।'