আজ রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা দিতে ওঠার পর থেকেই বিরোধীরা ধারাবাহিকভাবে স্লোগান তুলে গিয়েছে। তবে এরই মাঝে কংগ্রেসকে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন মোদীর। কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদী বলেন, 'ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির ওপর ভিত্তি করে কংগ্রেসের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক নীতি ছিল। কংগ্রেস যদি আদিবাসীদের জন্য ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করত, তাহলে ২১ শতকের তৃতীয় দশকে এসে আমাকে এত পরিশ্রম করতে হত না।'
'আমাদের বাজারে তাদের ভ্যাকসিন বিক্রি করার জন্য বিশ্বের মানুষের চাপ ছিল। এই নিয়ে অনেক রিপোর্ট লেখা হয়েছিল। টিভি সাক্ষাৎকার দেওয়া হয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত আমাদের বিজ্ঞানীদের অপমান করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমার দেশের বিজ্ঞানীরা এমন ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন যা অনুমোদিত হয়েছে এবং ১৫০টি দেশ উপকৃত হয়েছে তা থেকে।' মোদী এদিন কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে আরও বলেন, 'আমরা টোকেনবাদে বিশ্বাস করি না, আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।'
মোদী বলেন, 'কোনও এক রিপোর্টে পড়েছিলাম... আমি যাচাই তো করিনি, তবে তাতে বলা হয়েছিল যে সরকারের প্রায় ৬০০টি প্রকল্পের নাম গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নামে। আমি এটা বুঝতে পারি না যে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের কেউ নেহরু পদবি কেন ব্যবহার করেন না। এত কিসের লজ্জার? এত মহান ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এই দেশ কোনও এক পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমরা মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেল রত্ন সম্মানের নামকরণ করেছি। আন্দামানে আমরা নেতাজির নামে দ্বীপের নামকরণ করেছি। অনেকেই দেশের সেনাকে অসম্মান করে। তাই আমি দেশের দ্বীপপুঞ্জের নামকরণ করেছি পরমবীরচক্রদের নামে।'
এদিন জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেন, 'কংগ্রেস সংবিধানের ৩৫৬ ধারার সবথেকে বেশিবার অপব্যবহার করেছে। ৯০ বার নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কেরলে বামপন্থী সরকার ফেলে দেওয়া হয়। আজ তারাই বিরোধীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে। করুণানিধির নেতৃত্বাধীন ডিএমকের সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এনটিআর চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তখন, তাঁর সরকার ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। ৩৫ বছর বয়সি যুব মুখ্যমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের সরকার ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।'