বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই মাকালী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই আবহে এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর গলাতেও শোনা গেল মাকালী প্রসঙ্গ। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ১৫তম সভাপতি স্বামী আত্মস্থানন্দ মহারাজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখছিলেন আজকে। সেই সময় তিনি বলেন, ‘স্বামী রামকৃষ্ণ পরমহংস এমন একজন সাধক ছিলেন যিনি তাঁর চোখের সামনে মা কালীকে অনুভব করেছিলেন।’ প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলার কালীপুজো এবং স্বামী বিবেকানন্দের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দের এত বিজ্ঞ ছিলেন কিন্তু তিনি দেবী কালীর প্রতি ভক্তিতে শিশুর মতো হয়ে উঠতেন। স্বামী আত্মস্থানন্দের মধ্যেও এমন অটুট বিশ্বাস ছিল।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাকালীর আশীর্বাদ সবসময় ভারতের সাথে থাকে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর গলায় মাকালী বন্দনা শোনার পরই বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে তিনি একটি টুইট করেন। টুইট বার্তায় অমিত লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, শুধু বাংলা নয়, সমগ্র ভারতে মাকালী ভক্তির কেন্দ্রবিন্দু। অন্যদিকে, একজন তৃণমূল সাংসদ মাকালীকে অপমান করেন। এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার পরিবর্তে তাঁকে রক্ষা করেছেন ...’
প্রসঙ্গত, ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের দেবদেবীকে কীভাবে দেখবেন, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি ভুটানে যান, বা সিকিমে যান, তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। এবার আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।’
মহুয়ার এই মন্তব্যের পরই বিতর্ক দানা বাঁধে। দল জানিয়ে দেয় যে তারা মহুয়ার পাশে তারা নেই। এদিকে কালীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পথে নামে বিজেপির মহিলা মোর্চা। বৌবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিজেপি বিধায়র হিরণ চট্টোাধ্যায়ও মহুয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বিজেপি দাবি করছে যাতে মহুয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল কড়া পদক্ষেপ করুক।