এর আগে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনের বৈঠকে কট্টরপন্থী বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন চিন-পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিকে। এবার মোদীর গলায় সেই একই সুর শোনা যেতে পারে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায়। প্রধানমন্ত্রী ২৫শে সেপ্টেম্বর তাঁর ভাষণে রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিবাদ-বিরোধিতার কথা বলবেন। তিনি বোঝতে চাইবেন যে আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চলে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে এই কট্টরপন্থা ও ধর্মের আমদানি, যার জেরে রক্তপাতের ঘটনা ঘটে সেখানে।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর বিদায়ের পর প্রথম এসসিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর মৌলবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দেন মোদী। ইতিমধ্যেই ২০ বছর পর ফের আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আফগান জনগণের ভাগ্য, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে মৌলবাদী মানসিকতা। পাশাপাশি আফগানিস্তান আবারও সন্ত্রাসবাদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হতে পারে। কারণ তালিবান ইতিমধ্যেই দেখিয়েছে যে তাদের চরমপন্থী মতাদর্শ অতীত নয়। এই আবহে ভারত এই বিষয়টির উপর জোর দিতে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ ব্যবহার করবেন বলেই জানা যাচ্ছে।
এর আগে এসসিওর বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, 'এই মুহূর্তে বিশ্বের সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ শান্তি বজায় রাখা। শান্তির পক্ষে কট্টরপন্থা বড় চ্যালেঞ্জ। আফগানিস্তানে ফের শান্তি ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সহযোগিতা, স্বচ্ছতাকে সামনে রেখেই সংযোগ স্থাপন সম্ভব।' পাশাপাশি মোদী আরও দাবি করেন, বিশ্বের এটা নিশ্চিত করা উচিত যাতে আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদ ফের ছড়িয়ে না পড়ে।