পরাজিত হয়েছে বিজেডি। ওড়িশার মসনদে এখন বিজেপি। তবে বুধবার নতুন মুখ্য়মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। তিনি ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই মঞ্চেই নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আর তাঁকে দেখেই এগিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী।
এএনআই সূত্রে খবর, এদিন দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী গিয়ে কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে। দুজনে হাত মেলান। হাসতে দেখা যায় দুজনকেই। বেশ আবেগঘন সময়। এর আগে ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসেছিলেন বিজু পট্টনায়ক। এরপর সেই চেয়ারে বসেন নবীন পট্টনায়ক।
নবীনের রাজনৈতিক জার্নিটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৯৮ সালের লোকসভা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন তিনি। বাবার সংসদীয় কেন্দ্র আস্কা থেকে লড়েছিলেন তিনি। এদিকে ২০০০ সালে বিজেপির হাত ধরে ওড়িশায় সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পায় বিজেডি। এরপর নবীন পট্টনায়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে ওড়িশায় মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে বসেন।
এরপর তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই চেয়ারে বসেছিলেন। এদিন সেই চেয়ারে বসলেন মোহন চরণ মাঝি। শপথ নেওয়ার পরে তিনি বলেন, নতুন সরকারের গর্ব, মর্যাদাকে ফিরিয়ে আনাকে আমরা অগ্রাধিকার দেব।
কেওনঝাড় থেকে ভোটে জিতে মুখ্য়মন্ত্রী হলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০০০ সালে তিনি প্রথমবার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৪ সালে তিনি ফের নির্বাচিত হন। ২০০৫-০৯ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপি-বিজেডি সরকারেরর মুখ্য সচেতক ছিলেন। ২০১৯ সালে ফের তিনি বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। এবার ফের তিনি বিধায়ক হিসাবে জেতেন। তিনিই বসলেন মুখ্য়মন্ত্রীর চেয়ারে।
ভুবনেশ্বরের জনতা ময়দান। একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ সেই ময়দান। সেই ময়দানেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই শপথ নিলেন ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী। একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে। একাধিক বিধায়ক এদিন মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন ওই মঞ্চ থেকে।
শপথ নেওয়ার আগে মোহন চরণ প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের বাড়ি নবীন নিবাসের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি নবীন পট্টনায়ককে আমন্ত্রণ জানান। এদিন নবীন পট্টনায়কও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
নতুন সিএমের স্ত্রী জানিয়েছেন, কখনও ভাবিনি উনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আমি আশা করছিলাম যে তিনি বিজেপির নতুন মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্বের জায়গা সুরক্ষিত করবেন। এটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটি শ্বাসরুদ্ধকর বিস্ময় ছিল।
মোহনের মা বালে মাঝি বলেন, ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় তিনি খুব খুশি। প্রথমে তিনি সরপঞ্চ, তারপর বিধায়ক এবং এখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।