মে মাসে নেপালের সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। মে মাসের ১৬ তারিখ নেপাল সফরে যাচ্ছেন তিনি। নেপালের লুম্বিনীর দিকে তাঁর সফর করার কথা। এদিকে নেপালের বুকে লুম্বিনীতে একটি বিমানবন্দর তৈরি করেছে চিন। সেই বিমান বন্দর খুব শিগগিরিই নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা উদ্বোধন করতে চলেছেন বলে খবর, নেপালের মিডিয়ার তরফে। সেখানের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, জানা গিয়েছে, মোদী লুম্বিনী যাবেন, তবে চিনের তৈরি বিমানবন্দরে তিনি পা রাখবেন না।
বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী নেপাল সফরে যেতে গিয়ে প্রথমে ভারতের কুশিনগর বিম্নাবন্দরে নামবেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তিনি লুম্বিনীতে একটি বিশেষ হেলিপ্যাডে নামবেন। সেখানে তিনি ভারতের সহায়তায় তৈরি একটি 'বিহারের' ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, লুম্বিনীতে চিনের সহযোগিতায় নেপালের এই বিমানবন্দরটি ভারতের সীমানারল থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। তবে সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পা রাখবেন না বলেই জানা যাচ্ছে। লাদাখ সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যা দিল্লির তরফে বেজিংয়ের প্রতি বড়সড় কূটনৈতিক চাল বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিমানবন্দর নির্মাণে ১০ বছরে চিন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, নেপালে ১৬ মে ওই বিমানবন্দর উদ্বোধনে চিনের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির আসার কথা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি এভাবেই কূটনৈতিক পথে চিনকে জবাব দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পুতিন কি গুরুতর অসুস্থ? পায়ের ওপর কম্বল টেনে নেওয়ার দৃশ্য ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
নেপালের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে ভারতের মতভেদ রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে ভারত ও নেপালের মধ্যে সমঝোতারও অভাব দেখা গিয়েছে। এবার নেপাল চাইছে যাতে ভারতের সঙ্গে লুম্বিনী ও নেপালগঞ্জ সংযুক্ত করা যায়। তবে নেপালের কাছে গোরক্ষপুরে ভারতের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি রয়েছে বলে তাতে বাধ সেধেছে দিল্লি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফরে আলাদা করে কোনও প্রসঙ্গ উঠে আসে কি না, সেদিকে তাকিয়ে দেশ।