কানাডার হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় এবার মুখ খুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সরাসরি জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের নাম উল্লেখ করেছেন। মোদীর সাফ কথা, এভাবে ভয় দেখিয়ে ভারতীয়দের দৃঢ় মাসিকতাকে টলানো যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে সেখানে মোদী লেখেন, 'কানাডায় হিন্দু মন্দিরে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলার তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি আমি। আমাদের কূটনীতিকদের যেভাবে কাপুরুষোচিত ভাবে ভয় দেখানো হয়েছে, তাতেও আমি হতবাক। এই ধরনের হিংসার ঘটনা কখনও ভারতের দৃঢ় সংকল্পকে টলাতে পারে না। আমরা আশা করছি, কানাডা সরকার এর বিচার করবে এবং আইনের শাসন বজায় রাখবে।' (আরও পড়ুন: LAC-তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে 'ইতিবাচক পদক্ষেপ',এবার কোথায় পা পড়ল ভারতীয় সেনার?)
উল্লেখ্য, কানাডার অন্টারিওর ব্র্যাম্পটন (গ্রেটার অন্টারিও এলাকা) হিন্দু মন্দিরে হামলার অভিযোগ ওঠে খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে। সেখানে দর্শনার্থীদের ওপর নাকি হামলা চালায় তারা। কানাডার সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল টেলিগ্রাফ সাংবাদিক ড্যানিয়েল ব্রডম্যান সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা গিয়েছে, লাঠি নিয়ে ছুটে এসে কয়েকজন হামলা চালাচ্ছে। তারইমধ্যে এক মহিলাকে চিৎকার করতে শোনা যায়। অভিযোগ ওঠে, মন্দির চত্বরে ঢুকে দর্শনার্থীদের ওপর চড়াও হয় কট্টরপন্থী শিখরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে দাবি করা হয়। তবে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খলিস্তানিরা পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়ে মন্দির চত্বরে। সেখানে দর্শনার্থীদের পতাকার লাঠি দিয়েই মারতে শুরু করে তারা। ভাইরাল ভিডিয়োতে হামলাকারী খলিস্তানিদের আটকাতে দেখা যায়নি।
পরে অবশ্য ব্র্যাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, 'ব্র্যাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়। সব কানানিয়ান নাগরিকেরই স্বাধীন ভাবে এবং নিরাপদে নিজের ধর্ম পালনের অধিকার আছে। আমি পিল রিজিওনাল পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা খুব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং ঘটনার তদন্ত করছে।'
এদিকে এই নিয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করে ভারতীয় হাইকমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'টরন্টোর কাছে ব্র্যাম্পটনে হিন্দু সভা মন্দিরের সাথে মিলে কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল ভারতীয় হাইকমিশন। সেখানে আজ ভারত বিরোধীরা এসে হিংসাত্মক হামলা চালায়। টিন কনস্যুলার কাজে এই ধরনের ব্যাঘাত ঘটতে দেখে আমরা খুবই হতাশ। এদিকে ভারতীয় নাগরিক এবং স্থানীয় যে ব্যক্তিরা এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আবেদন জানান, তাঁদের নিরাপত্তার জন্যও খুব উদ্বিগ্ন আমরা। এদিকে ভারতবিরোধীদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের কনস্যুলেট ১০০০ জনেরও বেশি ভারতীয় এবং কানাডিয়ান আবেদনকারীদের জীবন শংসাপত্র ইস্যু করতে সক্ষম হয়েছিল।'