ভ্যাকসিন নয়, এবার করোনার ওষুধ মলনুপিরাভিরের ভারতে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন চাইল হায়দরাবাদের একটি সংস্থা। সোমবার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন চাইল এই সংস্থা। সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে অনুমোদন চাইল হায়দরাবাদের এই সংস্থা।
জানা গিয়েছে, এই ক্যাপসুলটি মার্কিন সংস্থা রিডজেব্যাগ বায়োথেরাপিউটিক্সের সঙ্গে মেজর মার্কের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে।ভারতে ন্যাটকো ফার্মা লিমিটেড এই ক্যাপসুলটি উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে। হায়দরাবাদের এই সংস্থার দাবি, মলনুপিরাভির ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি এই ওষুধটি করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতাও রাখে। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ওষুধটি পাঁচদিনের মধ্যে রোগীর শরীরে কাজ করা শুরু করে দেয়। এই ওষুধটি খেলে খুব সময়ের মধ্যে রোগী সেরে উঠতে পারেন। ন্যাটকো সংস্থার তরফে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, এই ওষুধটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
একইসঙ্গে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, যদি কোনও রোগীর সংকটজনক অবস্থাও থাকে, তাহলেও এই ওষুধ কাজ করতে পারে। ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেলেই ওষুধ উৎপাদন শুরু করে দেবে সংস্থা।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনার নতুন এই ওষুধটি যদি বাজারে চলে আসে, তাহলে দেশে যে নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ উঠেছে তা অনেকটাই রোখা সম্ভব হবে।ইতিমধ্যে রেমডেসিভির সংকট দেখা দিয়েছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে নতুন এই ওষুধ চলে এলে করোনা রোগীদের অনেকটাই সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ক্যাডিলার তৈরি ওষুধ ভিরাফিনকে বয়স্ক কম আক্রান্ত করোনা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করার অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার।