অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য জাতীয় ডাটাবেস(এনডিইউডব্লু) তৈরি করছে কেন্দ্র। চলতি মাসের মধ্যেই শ্রমিকদের ডাটাবেস তৈরি করার জন্য নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বুধবার সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক।
পরিযায়ী শ্রমিকরা যে সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন, সেই সংকট এড়াতে সরকার দেশের অসংগঠিত খাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পোর্টাল ও ডাটাবেস চালু করার পরিকল্পনা করছে কি না, তা নিয়ে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)এর সাংসদ ড. বান্দা প্রকাশের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রক বলে, ‘এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের ড্রাই রান ও নিরাপত্তা বিষয়ক অডিট প্রক্রিয়া চলছে। দেশের পরিয়ায়ী শ্রমিকদের সংকটের পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, সেজন্য সেই ক্ষেত্রটিও বেছে নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ডাটাবেসে নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে পরিয়ায়ী শ্রমিক, গিগ ও প্ল্যাটফর্ম কর্মী, রাস্তার বিক্রেতা, পরিচারিকা, কৃষি শ্রমিক ছাড়াও অসংগঠিত ক্ষেত্রে নানা ধরনের শ্রমিকেরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
এদিন রাজ্যসভার সত্র চলাকালীন কংগ্রেস নেতা কেটিএস তুলসী প্রশ্ন করেন যে, এই মহামারিতে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য সরকার কি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে?
উত্তরে মন্ত্রক জানায়, কেন্দ্রীয় সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও করোনার সময় জীবিকা রক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে দেশকে স্বনির্ভর ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পর্যাক্রমে ২৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি আত্মনির্ভর প্যাকেজ চালু করা হয়েছিল। আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনায় সরকার বিভিন্ন সংস্থাকে তালিকাভুক্ত করেছে। নিয়োগকারী ওই সংস্থাগুলোকে কর্মসংস্থান বাড়াতে উৎসাহিত করছে।
মন্ত্রক আরও বলেছে, ‘ প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ যোজনার অধীনে সরকার নতুন কর্মীদের যাদের মাসিক বেতন ১৫ হাজার টাকার কম, তাঁদের দু’বছরের জন্য বেতনের ১২ শতাংশ ও নিয়োগকারীদের অবদানের ভাগ দিচ্ছে।’