সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অধীনে তৈরি হওয়া নয়া সংসদ ভবনের মাথায় থাকা অশোক স্তম্ভ নিয়ে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। বিতর্কের জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, দেশের জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি অনেক শান্ত। তবে নতুন সংসদ ভবনের উপর থাকা অশোক স্তম্ভের সিংহগুলি হিংস্র। এই আবহে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আজ শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা কমপ্লেক্সে প্রস্তাবিত নতুন সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত সিংহগুলি জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করে না।’ পাশাপাশি মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। বিচারপতি আর শাহ ও কৃষ্ণা মুরারির বেঞ্চ আজ বলে, ‘সবটাই আপনাপ দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে।’
শীর্ষ আদালত বলে, ‘যে ব্যক্তি এটি (অশোক স্তম্ভ) দেখছে তার মনের উপর নির্ভর করে বিষয়টি। আদালত কি এখন এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন নকশা সঠিন? আমাদের বলুন কোন আইন এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে। আরও ভালো কোনও ইস্যু নিয়ে জনস্বার্থ মামলা ফাইল করুন।’
সম্প্রতি ৯,৫০০ কেজি ওজনের ব্রোঞ্জের অশোক স্তম্ভটি জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের দাবি, ৬.৫ মিটারের উচ্চতার যে সিংহগুলি অশোক স্তম্ভে আছে তার রূপ সারনাথের সিংহের রূপের থেকে পুরোপুরি আলাদা।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের সারনাথের অশোক স্তম্ভকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। জাতীয় প্রতীকে সবমিলিয়ে রয়েছে ৭টি পশু। ৪টি এশিয়াটিক লায়ন, একটি হাতি, একটি ষাঁড় ও একটি ঘোড়া। সামনের দিকে অশোক চক্রের বাম দিকে একটি ছুটে চলা ঘোড়া এবং ডানদিকে একটি ষাঁড় রয়েছে। ভারতের জাতীয় প্রতীকটির ডিজাইন করেছেন দীনানাথ ভার্গব। আর সংসদ ভবনের মাথার উপর বসতে চলা অশোক স্তম্ভটি গড়েছেন সুনীল দেওয়া ও রোমিল মোসেস। তাঁদের দাবি, মূল স্তম্ভ থেকে কোথাও আলাদা নয় নয়া স্তম্ভের আকৃতি।