দু'দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে ন'ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তবে সেই জিজ্ঞাসাবাদে এখনই ইতি পড়ছে না। ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থিক তছরুপ মামলায় মঙ্গলবারও ওয়াইনাডের সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
সোমবার দেশজুড়ে কংগ্রেসের প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মধ্যে সকাল ১১ টায় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছান রাহুল। দিল্লিতে তো হুলুস্থুলু কাণ্ড বেঁধে যায়। সেইসবের মধ্যেই মধ্যাহ্নভোজের জন্য দুপুর দুটো ১৫ মিনিট নাগাদ প্রথম দফার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়।
ইডির দফতর থেকে শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে চলে যান রাহুল। সঙ্গে ছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অসুস্থতার দিল্লির ওই হাসপাতালেই ভরতি আছেন রাহুলের মা তথা কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া। তারপর আবার দ্বিতীয় পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুপুর তিনটে ৪৫ মিনিট নাগাদ ইডির দফতরে আসেন রাহুল। সেখানেই প্রায় ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
দিল্লিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবে ১৪৪ অমান্য করে কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ।
কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হরিশ রাওয়াত, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অধীর চৌধুরী, সচিন পাইলট, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপাল-সহ তাবড় কংগ্রেস নেতাদের আটক করে দিল্লি পুলিশ। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। সুরজেওয়ালা বিজেপিকে ‘নাথুরাম গোডসের বংশধর’ বলে কটাক্ষ করেন।