সকাল সকাল ধুন্দুমার পরিস্থিতি দিল্লিতে। আজকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তার আগে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন দিল্লি কংগ্রেসের কর্মীরা। তবে ‘সত্যাগ্রহ মিছিলে’র অনুমতি না থাকায় পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের আটক করে। আটক কংগ্রেস কর্মীদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। ঘটনাটি ঘটে দিল্লিত কংগ্রেসের সদর দফতরের বাইরে। প্রিজন ভ্যানে উঠতে উঠতেও এটক কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মুখে ছিল ‘রাহুল গান্ধী জিন্দাবাদ’ স্লোগান।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। তবে সেই সময় তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। পরে নয়া সমন জারি করে ১৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় রাহুল গান্ধীকে। প্রসঙ্গত, গত ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সেদিন হাজিরা দিতে পারেননি। পরে সোনিয়াকেও নয়া সমন জারি করা হয় ইডির তরফে। সেই সমন জারির একদিন পরই হাসপাতালে ভরতি হন সোনিয়া। যদিও কংগ্রেস মুখরপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বারবার জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ইডিকে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরুর হাত ধরে পথ চলা শুরু ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর৷ স্বাধীনতার পর কাগজটি মূলত কংগ্রেসের মুখপত্রে পরিণত হয়৷ পত্রিকাটির প্রকাশক অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড৷ এর মালিকানা ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড৷ ২০০৮ সালে আর্থিক ক্ষতির কারণে ন্যাশনাল হেরাল্ড-এর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সোনিয়া গান্ধি৷ এরপর ২০১১ সালে ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড নামক কোম্পানি গঠন করেন তিনি৷ যাঁর ৭৬ শতাংশ অংশীদারি কংগ্রেস সভানেত্রী এবং তাঁর পুত্র রাহুলের৷ এর সূত্র ধরেই ২০১৩ সালে অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণিয়াম স্বামী৷ পরে ২০১৫ সালে ইয়ং ইন্ডিয়া একটি অলাভজনক কোম্পানি হওয়ায় এর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে ইডি৷ বর্তমানে এই মামলায় জামিনে মুক্ত আছেন রাহুল ও সোনিয়া।