ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় এবার কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।একই সঙ্গে কগ্রেসের ওভারসিজ ইউনিটের প্রধান শ্যাম পিত্রোদার নামও রয়েছে চার্জশিটে। ২৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে স্পেশাল কোর্ট।
মঙ্গলবার বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনে বলেছেন, 'প্রসিকিউশনের অভিযোগটি পরবর্তীতে বিবেচনার জন্য গ্রহণ করা হবে, বিচারের দিক থেকে... যখন ইডির বিশেষ আইনজীবী এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণের জন্য কেস ডায়েরিগুলি উপস্থাপন নিশ্চিত করবেন।' সম্প্রতি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ৬৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইডি। শনিবারই দিল্লি, মুম্বই ও লখনউয়ের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত নোটিস পাঠানো হয়। এই শহরগুলিতেই এজেএলের বিতর্কিত সম্পত্তিগুলি অবস্থিত।এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ইডি দিল্লি, মুম্বই ও লখনউতে মোট ৬৬১ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি এবং ৯০.২ কোটি টাকার এজেএল শেয়ার প্রাথমিকভাবে বাজেয়াপ্ত করে।
আরও পড়ুন-Punjab:'পাঞ্জাবে ৫০টি গ্রেনেড!' সমন এড়িয়ে বিপাকে বিরোধী দলনেতা
২০১৪ সালের ২৬ জুন নয়া দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পাটিয়ালা হাউস কোর্টের জারি করা নির্দেশের ভিত্তিতে ২০২১ সালে ইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন, যার ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়।অভিযোগ, এজেএল নামে যে সংস্থার হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে কোটি কোটি টাকার দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। ২০০৮ সালে সংবাদপত্রটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়। সেই অবস্থাতেই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করে সোনিয়া, রাহুল এবং কংগ্রেস নেতাদের ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা।ইয়ং ইন্ডিয়ান মাত্র ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এজেএলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, যার সম্পত্তির মোট মূল্য ২,০০০ কোটিরও বেশি।সোনিয়া এবং রাহুল প্রত্যেকেই ইয়ং ইন্ডিয়ানে ৩৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক, যা তাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার করে তোলে।
ইতিমধ্যে এই মামলায় ইডি রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গণাধিকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। শেষবার রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ২০২২ সালের জুন মাসে। তাঁর মাকেও ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড (ওয়াইআইএল)-এ তার ভূমিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।অন্যদিকে, ইডির চার্জশিটে গান্ধী পরিবারের দুই সদস্যের নাম থাকায় প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-Punjab:'পাঞ্জাবে ৫০টি গ্রেনেড!' সমন এড়িয়ে বিপাকে বিরোধী দলনেতা
এদিকে, সোনিয়া ও রাহুলের নামে চার্জশিট এমন দিনে পেশ করা হল যেদিন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢ়রাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। হরিয়ানার রিয়াল এস্টেট সম্পত্তির আর্থিক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়। তিনিও গোটা জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত পর্বকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।