আব্রাহাম থমাস
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পরপর তিনদিন জেরা ইডির। ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় তাঁকে জেরা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার এনিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন একজন কংগ্রেস নেত্রী। মহিলা কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়া ঠাকুরের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার সোনিয়া গান্ধী ও অন্যান্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সোনিয়া গান্ধী সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় সরকার সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২১ সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পাস করেছে। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য় সকেত গোখলেও এনিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে আবেদন করেছিলেন।
এদিকে ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলা প্রসঙ্গে পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১০ বছর ধরে তদন্ত চলছে। সোনিয়া গান্ধী ও কংগ্রেস নেতৃত্বের ইমেজকে নষ্ট করার জন্য় এসব করা হচ্ছে। ১০ বছর ধরে কোনও এজেন্সি তদন্ত চালাচ্ছে এরকম গোটা বিশ্বে দেখা যায় না। এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে সরকার এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা অপব্যবহার করছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, সরকার গণতন্ত্রের সাধারণ গঠনকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর সঞ্জয় কুমার মিশ্রকে ইডির ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। সেটাও দুবছরের জন্য। এরপর ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ আরও তিনবছর বৃদ্ধি করা হয়।একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইডির তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় বলে খবর।