ফের উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। এক মহিলাকে পোশাক ছেঁড়া, দাঁত ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনার পর মহিলাদের নিরাপত্তাই এখন প্রশ্নের মুখে।
উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার পর সেই দেহকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় সারা দেশ শিউরে উঠেছিল। এবার সেই ঘটনাই যেন মনে করিয়ে দিল দেশবাসীকে। লজ্জাজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে।
মহিলা খেলোয়াড়ের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, একটি স্কুলে চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের এই মহিলা খেলোয়াড়। গত শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা অস্থির হয়ে ওঠেন। তখন পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর এলাকার এক বাসিন্দা খবর দেন, রেললাইনের ধারে একটি মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেহ থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। দাঁত ভাঙা ছিল। ঘাড়ের কাছে ফাঁসের দাগ ছিল। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে।
ঘটনার পর প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে যায় মেয়েটির পরিবার। কিন্তু মেয়েটির দেহ যেহেতু রেললাইনের ধারে পাওয়া গিয়েছিল, তাই প্রথমে পুলিশের তরফে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শেষপর্যন্ত স্থানীয় এক বহুজন সমাজবাদী পার্টি নেতার সাহায্য নিয়ে বাড়ি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে খেলোয়াড়ের পরিবার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। রেল পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ সুপার অপর্ণা গুপ্তা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।