বিজেপি জাতীয় সম্পত্তিকে নিজের সম্পত্তি অথবা প্রধানমন্ত্রীর সম্পত্তি বলে ভুল করে ফেলছে। National Monetisation প্রসঙ্গে এভাবেই কেন্দ্রের কড়া সমালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘এগুলো প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিজেপির সম্পত্তি নয়। এগুলি জাতীয় সম্পত্তি। এগুলি দেশের। প্রধানমন্ত্রী এগুলি বেচতে পারেন না। এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত।আমি খুব মর্মাহত এই সিদ্ধান্তে।’ প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই এই National Monetisation প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
এদিকে এই ইস্যুতে অনেকটা মমতার সুরেই সুর মিলিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে নই। আমাদের আমলে বেসরকারিকরণের পেছনে একটা করে লজিক ছিল। তবে রেলের মতো Strategic Industryর ক্ষেত্রে কোনওভাবে বেসরকারিকরণ হয়নি। তবে সবক্ষেত্রেই এখন একছত্র বিনিয়োগের জন্যই এই বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। আপনারাই জানেন বন্দর ও বিমানবন্দরের মালিক এখন কারা।’তাঁর অভিযোগ সাত দশক ধরে যে পরিকাঠমো তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে তা তিন থেকে চারজন শিল্পপতির কাছে বেচে দেওয়া হচ্ছে।
রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা শচিন পাইলটের দাবি, সরকারের উচিৎ গরিব ও মধ্যবিত্তের পাশে দাঁড়ানো। তা না করে তারা দেশের সম্পদ নির্দিষ্ট কয়েকজনের কাছে বেচে দিচ্ছে। এদিকে বুধবার মুম্বইতে পালটা ফুঁসে উঠেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। রাহুল গান্ধীর নাম না করে তিনি বলেন, 'তিনি কি জানেন Monetisation কাকে বলে? কংগ্রেসই দেশের সম্পদ বেচে দিয়েছিল। সেজন্যই তারা ঘাড়ধাক্কা খেয়েছিল।' তবে বিলগ্নীকরণ প্রসঙ্গে তিনি আগেই বলেছিলেন, ‘সম্পদের মালিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই কাজ করবেন। এটি ফিরিয়ে নেওয়ার আইনও থাকবে। ’