নাগরিক ও অনাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা প্রয়োজন এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতা রয়েছে সরকারের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া এফিডেভিট-এর মাধ্যমে এই কথা জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এফিডেভিটে বলা হয়েছে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা যে কোনও সাব্রভৌম রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। শাসনের প্রয়োজনে বৈধ ও অবৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব সরকারের। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তও সরকারকেই নিতে হয়। ১৯৪৬ সালের বিদেশি আইনে সরকারকে সেই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে জমা পড়া একগুচ্ছ আবেদনের জবাবে এফিডেভিটে এমনই জবাব দিয়েছে কেন্দ্র।
এফিডেভিটে আরও বলা হয়েচে যে, কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে না। এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার অধিকারও তার নেই, দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। পাশাপাশি বলা হয়েছে, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ করা বা অভিমত দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার নেই।
বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে গেলে জল্ম তারিখ, জন্মস্থান, বাবা ও মায়ের নাম এবং তাঁদের ঠিকানা ও নাগরিকত্ব উল্লেখ করা আবশ্যিক। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, ক্ষেত্র বিশেষে কখনও কখনও পিতামহ ও পিতামহী সম্পর্কে তথ্যও চাওয়া হতে পারে।