পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেও তাঁর সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে। এরই মাঝে টুইটারে বার্তা দিয়ে পঞ্জাবের রাজনৈতিক মহল আরও গরম করে তুললেন নভজ্যোত সিং সিধু। এদিন এক ভিডিয়ো বার্তায় নভজ্যোত সিং বলেন, 'আমি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।'
উল্লেখ্য, দলের অন্দরের খবর, জাঠ নেতা সুখজিন্দর রান্ধাওয়াকে পঞ্জাবের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ মেনে নিতে পারেননি সিধু। তাছাড়া দলের অন্দরে চরণজিৎ সিং চান্নির উত্থানও মানতে পারেননি সিধু। কারণ দলের অন্দরে রান্ধাওয়া বা চান্নি ২০২২ সালে সিধুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। তাছাড়া মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে সিধুর মত নেওয়া হয়নি। ক্যাবিনেটে অমরিন্দর সিং ঘনিষ্ঠ বহু নেতা থাকায় ক্ষুণ্ণ হন সিধু। পাশাপাশি কপুরথালার বিধায়ক রানা গুরজিত সিংকে মন্ত্রী করার বিষয়টিও মানতে পারেননি সিধু।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছিল। সেই হিসেবে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি পদ ছেড়ে দিলেন। স্বাভাবিক ভাবে এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। এদিকে সভাপতি হওয়ার পরও চাপে ছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তারই ফল এদিনের ইস্তফা বলে মনে করছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে সিধুর ক্ষুণ্ণ হওয়ার তালিকা বুঝে পঞ্জাবের নেতাদেরকেই তাঁকে বোঝানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিধুর সঙ্গে এখনই কথা বলবে না হাইকমান্ড। প্রয়োজনে পরে ফের গান্ধীরা সিধুর সঙ্গে কথা বলবে বলে জানা গিয়েছে।