পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন নভজ্যোত সিং সিধু। মনে করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য বা হাইকমান্ড ঘনিষ্ট কোনও নেতার সঙ্গেই কথা বলেননি সিধু। মনে করা হচ্ছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের পর সিধুকে মুখ্যমন্ত্রী না করায় তিনি ক্ষুণ্ণ ছিলেন। এই আবহে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি।
এদিন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো চিঠিতে সিধু লিখেছেন, 'যখন আপোস করার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন একজন পুরুষের চরিত্র ভঙ্গুর হয়ে যায়। আমি পঞ্জাবের ভবিষ্যত ও কল্যাণমূলক কাজের অ্যাজেন্ডার সঙ্গে কখনও আপোস করিনি। তাই আমি পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। কংগ্রেসে সেবা করার কাজ চালিয়ে যাব।'
উল্লেখ্য গত ১৮ জুলাই সিধুকে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদে বসানো হয়েছিল। সেই হিসেবে মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি পদ ছেড়ে দিলেন। স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে এই জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিকে সিধুর পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের টুইটে কটাক্ষ, আমি আগেই বলেছিলাম, সিধুর উপর ভরসা রাখা যায় না।
এদিকে পঞ্জাবের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দরের দিল্লি সফর নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। প্রসঙ্গত, নভজ্য়োত সিং সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করার পর থেকেই ওই রাজ্যের শাসক দলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের নেতা ও বিধায়কদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন হয়ে যায়। এক পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকে সমর্থন করেন। আর বাকিরা সিধুর পক্ষ নেন। এই পরিস্থিতিতে অমরিন্দর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়েন। আর আজ দলের সভাপতিত্ব ছাড়েন সিধু।