পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত্ সিং সিধু দলীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য দলের প্রচারের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠক চাইলেন। পঞ্জাবের জন্য ১৩ দফা অ্যাজেন্ডা উপস্থাপনের জন্য এই বৈঠক চেয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি বলেন, 'পঞ্জাবের পুনরুত্থান এবং মুক্তির জন্য শেষ সুযোগ এটা।'
চিঠিতে সিধু যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তার মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় অপরাধের বিচার, পাঞ্জাবের মাদকদ্রব্য পাচার, কৃষি সমস্যা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, বালি উত্তোলন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর কল্যাণের বিষয়। ১৫ অক্টোবর তারিখে লেখা চিঠিটি সিধু আজ টুইটারে শেয়ার করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে দেখা করেন সিধু। কথা বলেন পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতের সঙ্গেও। এরপরই শুক্রবার সিধু দেখা করেন রাহুলের সঙ্গে। এরপরই পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াত দাবি করেন যে সিধু পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভআপতি পদে বহাল থাকবেন।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সিধু। কংগ্রেস সভাপতির হওয়ার পর অমরিন্দর সিংকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লেগেছিলেনন সিধু। শেষমেশ অপমানিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। অমরিন্দরের পর সিধুকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করা হলেও, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চরণজিৎ সিং চন্নিকে পঞ্জাবের নয়া মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে। নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর গঠিত নয়া মন্ত্রিসভা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সভাপতির পদ থেকে সিধু ইস্তফা দেন।