ভারতীয় নৌসেনা যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং যুদ্ধের জন্যে সর্বদা প্রস্তুত। এদিন এভাবেই চিনকে হুঁশিয়ারি দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদিন নিয়ের যুক্তি প্রমাণ করতে গিয়ে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ের উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি জানান, লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনা বাহিনী মোতায়েন করে। তার থেকেই বোঝা যায় ভারত যেকোনও পরিস্থিতিতে সর্বদা তৈরি। উল্লেখ্য, রাজনাথ এমন একটি সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন চিন ও ভারতের তরফে লাদাখ সীমান্তে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে।
রাজনাথ সিং শুক্রবার কেরলের কোচিতে ছিলেন। সেখানে প্রথম ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী বিক্রান্তের নির্মাণ কাজ তদারকি করতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের প্রথমার্ধেই এই রণতরী নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিক্রান্তকে আত্মনির্ভর ভারতের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেরাজনাথ সিং বলেন, 'এই রণতরীর স্টিল থেকে শুরু করে ডিজাইন, অস্ত্র, সেন্সর সব ভারতে তৈরি।' ভারতীয় স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে নৌসেনায় এই রণতরীর অন্তর্ভুক্তি দেশকে সম্মান জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এই রণতরীরে মিগ-২৯কে থাকবে। পাশাপাশি ক্যামোভ-৩১ হেলিকপ্টারও থাকবে। তাছাড়া অ্যান্টিসাবমেরিন এমএইচ-৬০আর রোমিয়ো হেলিকপ্টার থাকবে এই সুসজ্জিত রণতরীতে। এই রণতরীর ওজন হবে ৩৭ হাজার ৫০০ টন। উল্লেখ্য, ভারতের কাছে বর্তমানে একটি মাত্র এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। রাশিয়া থেকে আইএনএস বিক্রমাদিত্য কিনেছিল ভারত। এদিকে চিনের কাছে দুটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার রয়েছে। তবে বিক্রান্তের অন্তর্ভুক্তি ভারতীয় নৌসেনাকে আরও মজবুত করবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের।