স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জালে খোদ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। আর মঙ্গলবার দিনভর এনিয়েই নানা কানাঘুষো চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। এমন একজন ব্যক্তিকে আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের চেয়ারে বসিয়ে রাখা কতটা যুক্তি সংগত তা নিয়েও এবার প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের মতে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের গায়ে কালি লেপে দিয়েছেন। এই কলঙ্ক মুছতে হবে তাকেই। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে আদৌ উপাচার্য রাখা হবে কি না তা নিয়ে কার্যত দ্বিধায় রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এভাবে আগে তো কোনওদিন হয়নি। গোটা বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তবে উপাচার্য হিসাবে বিষয়টি হয়নি। কিন্তু ব্যাপারটি বিচারাধীন। এনিয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়।
এদিকে সুবীরেশকে বরখাস্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই দাবি উঠতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। এই ঘটনায় অনেকেরই লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। তাঁদের দাবি গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ হিসাবে দেখা হয় উপাচার্যকে। কিন্তু তিনিই সিবিআই হেফাজতে। সেক্ষেত্রে অনেকের মতে, গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ডুবিয়েছেন তিনি।
এদিকে সোমবার সুবীরেশের গ্রেফতারের খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে পৌঁছতেই এনবিইউর একাংশের মধ্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে। শিলিগুড়ির ভেনাস মোড়ে আনন্দে মিষ্টি ও চকোলেট বিলি করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা ও এবিভিপি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও দেখান বিজেপির যুব মোর্চা। অনেকের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি কেলেঙ্কারি, অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তিনি যুক্ত। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রুত উপাচার্য পদে অস্থায়ীভাবে অন্য় কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।