পি চিদম্বরম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কেসি বেনুগোপাল। এবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন এনসিপি সপ্রিমো শরদ পাওয়ার। গোয়া বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে চর্চিত বিষয়। কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট গোয়ায় হবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার গোয়া নিয়ে খেলে দিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? আজ মু্ম্বইয়ে এই বিষয় নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কথা চলছে।’ এই কথা বলার পর জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর বিজেপি গোয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন এই জোটের খবরে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন।
একুশের নির্বাচনে ভূমিধস সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর থেকেই ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে নিশানা করেছে। লোকসভা নির্বাচনে ২০২৪ সালে যাতে বিজেপিকে বেগ দেওয়া যায় তাই এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। ত্রিপুরার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ গোয়া। ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় এলে সেগুলি চালু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আরবসাগরের তীরে অনেকেই কংগ্রেস–সহ অন্যান্য দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বাকি ছিল কংগ্রেস–তৃণমূল সমঝোতা। সেটা হয়ে গেলে বিজেপি এই রাজ্য থেকে মুছে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে রাজ্যসভায় সদস্য হয়েছেন। টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ–সহ আরও অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। গোয়ার এনসিপি বিধায়ক তথা আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিলও যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এবার মুখ খুললেন শরদ পাওয়ার।
এদিন শরদ পাওয়ার আরও বলেন, ‘আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধে চলার জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা আমাদের পছন্দের আসনের তালিকা দিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। গোয়ার মানুষ বিজেপির শাসনে অতিষ্ঠ। এবার বদল দরকার।’ এই মন্তব্যের পর থেকেই পাল্টে যেতে পারে সমীকরণ বলে মনে করা হচ্ছে।