এদিন আচমকা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দেখা যায় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারকে। এরপরই শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। তবে পরবর্তীতে সব ল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয় এনসিপির তরফে। এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাবি করেন, অনেকদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওার কথা ছিল শরদ পাওয়ারের। সেই বৈঠকটাই আজ হল। বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি। তবে কী নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হল ৫০ মিনিট ধরে?
জানা গিয়েছে নয়া ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনে শরদ পাওয়ারের আপত্তি রয়েছে। এই সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ জানিয়ে দীর্ঘ ছয় পাতার একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ। চিঠিতে তিনি দাবি করেন নোট বাতিলের জন্যে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাওয়ারের অভিযোগ, সমবায় ব্যাঙ্কের চরিত্রকে খর্ব করছে নয়া ব্যাঙ্কিং আইন। চিঠিতে পুরোনো বেশ কয়েকটি মামলার উল্লেখও রেখেছেন শরদ পাওয়ার। তিনি দাবি করেন নয়া আইন সংবিধানের ৯৭তম সংশোধনীকে খর্ব করে।
উল্লেখ্য, এদিন প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে শরদ পাওয়ারের যাওয়ার খবর প্রকাশ হতেই জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি করা হতে পারে, এমন জল্পনা বেশ কয়েকদিন ধরেই দিল্লির বাসাতে ঘুর ঘুর করছে। এই আবহে মোদীর সঙ্গে শরদ পাওয়ারের সাক্ষাত্ নিয়ে তৈরি হয় বিশেষ কৌতুহল।
কয়েকদিন আগে অবশ্য শরদ পাওয়ার নিজে এই বিষয়ে বলেছিলেন, 'এখনও কোনও কিছুই সিদ্ধান্তে পরিণত হয়নি। তা সে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হোক বা বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচন এখনও বহু দূরে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব সময় বদলাতে থাকে। আমি এখনই ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনও নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবছি না।'