করোনাকালে দীপাবলি। দূষণে আরো রোগ বাড়তে পারে, এই ভয় কাঁটা সবাই। তার মধ্যে উত্তর ভারত জুড়ে খড় পোড়ানোর জন্য আগে থেকে বায়ুদূষণ তো আছেই। এর জেরেই দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুন্যাল। অন্যদিকে মুম্বইয়ে শুধু ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ দীপাবলীর দিন বাজি পোড়ানো যাবে।
এদিন এনজেটি ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনে (এনসিআর) ৯ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ৩০ নভেম্বর অবধি বাজি বিক্রি ব্যান করে দিয়েছে। দেশের যে সব শহরে বায়ুদূষণে পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হবে, সেখানেই তাদের নির্দেশ লাগু হবে বলেও জানিয়েছে এনজিটি। যে সব জায়গায় পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো, সেখানে সবুজ বাজি ফাটানো যাবে দুই ঘণ্টার জন্য উৎসবের দিনে। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করতে হবে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে। এর ওপর নজর রাখবে প্রতি রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। সেই সংক্রান্ত কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দেবে তারা। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ফলে পশ্চিমবঙ্গে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বাজি বিক্রির ওপর। এদিন নিজেদের ৫৮ পাতার অর্ডারে সেই কথা উল্লেখও করে এনজিটি। বাংলা ছাড়াও অন্য বেশ কিছু রাজ্যে এরকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজ্যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ও শুধু প্রাকৃতিক বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
অন্যদিকে বিএমসি মুম্বইয়ে শুধু দিওয়ালির দিন বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে। পটকা, ফুলঝুড়ি ও তুবড়ি ফাটানো যাবে ১৪ নভেম্বর। করোনাকালের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমসি। মুম্বই পুরকমিশনার সবাইকে এই বার বাজিবিহীন দিওয়ালি পালন করতে অনুরোধ করেছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে ঠেকানোর জন্য। একই সঙ্গে যারা বাজি ফাটাচ্ছেন তাদের স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে মানা করা হয়েছে।জল ও সাবান দিয়ে হাত ঢুতে বলেছে প্রশাসন। রবিবারই উদ্ধব ঠাকরে বলেন যে তিনি বাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চান না, কিন্তু মানুষের শুভবুদ্ধির কাছে আপিল করতে চান। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে অনেক কষ্টে রাজ্যে করোনাকে কাবু করা গিয়েছে। এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে কোভিড-১৯ ভাইরাস।