বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > আমলা আইন বদল নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এলো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি

আমলা আইন বদল নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে এলো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

তাতে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আইএএস ক্যাডার আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাবে প্রথম গর্জে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর পর দুটি চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই দুটি চিঠিতেই আমলা আইনে সংশোধনী আনলে সেটা হবে সাংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়ে আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে গিয়েছিল কেরল–মহারাষ্ট্রের বক্তব্য। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিজেপি ও এনডিএ শাসিত কয়েকটি রাজ্য। তাতে মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

কারা দাঁড়াচ্ছেন মমতার পাশে?‌ সূত্রের খবর, পাঁচটি রাজ্য এই আমলা আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। এমনকী আইএএসদের নিয়ন্ত্রক ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে (ডিওপিটি) চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গের পাশে এলো ওড়িশা, বিহার, মেঘালয় এবং মধ্যপ্রদেশ। এই চার রাজ্যের বক্তব্য, বদলের প্রয়োজন নেই।

মহারাষ্ট্র ‘কড়া চিঠি’ দিচ্ছে নয়াদিল্লিকে। এই বিষয়ে রাজ্যগুলির জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্র শেষ দিন ধার্য করেছে ২৫ জানুয়ারি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্য চিঠি পাঠিয়ে বিরোধিতা করেছে। সেখানে ওড়িশা এনডিএ’‌র সঙ্গে থেকে বিরোধিতা করেছে। বিহার বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে। আর মেঘালয়–মধ্যপ্রদেশ বিজেপি শাসিত রাজ্য। তারাও বিরোধিতা করেছে।

সমস্যাটি ঠিক কোথায়?‌ জানা গিয়েছে, আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস অফিসারদের কেন্দ্রে বদলিতে যেতে হলে রাজ্যের সম্মতি আবশ্যিক ছিল। কিন্তু নয়া সংশোধনীতে আনা হচ্ছে, আর বাধ্যতামূলক থাকবে না বিষয়টি। এতেই আপত্তি তুলেছে রাজ্যগুলি। এভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়বে বলে মনে করছেন রাজ্যগুলি। তাতে বিজেপি শাসিত রাজ্য যুক্ত হওয়ায় চাপ বাড়ছে। সদ্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনা সকলেরই মনে আছে। এখন তা নিয়ে মামলা চলছে। তাই আপত্তি জানিয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলি। ২৫ তারিখের পর কি হয় এখন সেটাই দেখার।

বন্ধ করুন
Live Score