বিহার বিধানসভা উপনির্বাচনে এনডিএ শিবিরের ঝোড়ো ব্যাটিং। পড়শি রাজ্যের মোট চারটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই চারটিতেই জয়ী হয়েছেন এনডিএ প্রার্থীরা।
এর মধ্যে দু'টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি এবং বাকি দু'টি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছেন তাদের দুই জোট শরিক - জেডি(ইউ) এবং হাম(এস)-এর প্রার্থীরা। যার জেরে বিহারে কংগ্রেস, আরজেডি ও বামেদের সঙ্গবদ্ধ INDIA জোর ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও প্রকাশ্যে তেমনটা মানতে নারাজ রাজ্যের INDIA শরিকরা!
ইমামগঞ্জ আসনে জয়ী হয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা হাম(এস)-এর প্রতিষ্ঠিতা নেতা জিতন রাম মাঝির পুত্রবধূ দীপা কুমারী। তিনি তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরজেডি-র রওশন কুমারকে হারিয়েছেন ২১,৩৯১টি ভোটের ব্যবধানে।
এই আসনে এর আগে বিধায়ক ছিলেন জিতন রাম নিজেই। কিন্তু, গত লোকসভা নির্বাচনে গয়া কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ফলে, আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়।
এদিকে, এই নির্বাচনে লড়াই করেও কোনও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি 'পিকে', অর্থাৎ - প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ পার্টি। বদলে 'নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ' করেছে তারা!
একথা বলার কারণ হল - নিজেরা ভোটে না জিতলেও জন সুরজের প্রার্থীরা অন্য়ান্য দলের ভোটে ভাগ বসিয়েছেন। এই ভোট কাটাকাটি ফল INDIA-এর পক্ষে খুব একটা ভালো হয়নি। বিশেষ করে ইমামগঞ্জ ও বেলাগঞ্জে পিকে-র দলের এই নেতিবাচক প্রভাব খুব স্পষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। যেখানে আরজেডি প্রার্থীরা ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।
বেলাগঞ্জ আসনে জেডি(ইউ) প্রার্থী মনোরমা দেবী জয়ী হয়েছেন। বিজেপির অশোক কুমার সিং জিতেছেন রামগড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবং তাঁর দলীয় সহকর্মী বিশাল প্রসাদ জয়ী হয়েছেন তারারি কেন্দ্রে।
উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর জেডি(ইউ)-এর মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন প্রসাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'উপনির্বাচনে এনডিএ নিরঙ্কুশ সাফল্য পেয়েছে। এই জয় বিহারের মানুষের জয়। মানুষ যে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও তাঁর সরকারের উন্নয়নের উপরেই আস্থা রেখেছেন, এই জয়ই তার প্রমাণ। মানুষ ইন্ডি জোট এবং তাদের নেতিবাচক রাজনীতি ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।'
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দেবেশ কুমার এই জয়ের জন্য রাজ্যে নীতীশ কুমার ও কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের যৌথ উন্নয়নকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন।
তবে, বিহার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়লেও প্রকাশ্যে এই পরাজয়কে পাত্তা দিতে রাজি হননি আরজেডি-র মুখপাত্র চিত্তরঞ্জন গগন। তিনি বলেন, 'আমাদের সমস্ত ফোকাস ছিল ঝাড়খণ্ডে এবং সেখানে আমরা ভালো ফল করেছি। উপনির্বাচনে এমনিতেই ক্ষমতাসীন দলগুলিই সুবিধা পায়। কিছু আসনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা থাকতে পারে।'