বিহারের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা এবং আর্থিক প্যাকেজের দাবি বহু দিন ধরেই তুলে আসছে জেডিইউ। এরই সঙ্গে জাতিগত জনগণনার বিষয়টিও বিহারের রাজনীতিতে বেশ সংবেদনশীল একটি ইস্যু। এই আবহে নীতীশ কুমার কি এই ধরনের অস্বস্তিকর ইস্যু নিয়ে বিজেপির সামনে কোনও শর্ত রাখছেন? উল্লেখ্য, এই প্রথমবার সত্যিকার অর্থে একটি জোট সরকার চালাতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে খাতায় কলমে এনডিএ জোট ক্ষমতায় থাকলেও বিজেপি একাই ম্যাজিক ফিগার পার করেছিল। তাই জোট শরিকদের ওপর সেই নির্ভরশীলতা ছিল না। তবে এবার চিত্রটা ভিন্ন। এই আবহে নীতীশকে কাছে রাখতে চাইছে মোদী-শাহ জুটি। (আরও পড়ুন: জলদি ডিএ মিটিয়ে দেব, ভোট শেষ হতেই সকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বড় ঘোষণা CM-র)
আরও পড়ুন: মোদী ৩.০-তে মন্ত্রী হবেন বিজেপির কারা? ২ বাঙালির খুলতে পারে ভাগ্য
আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই ভারত সফরে আসেন কানাডার গোয়েন্দা প্রধান
লোকসভা ভোটের কয়েকদিন আগেই এনডিএ-তে যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। এর আগে বিরোধী ইন্ডিয়া ডজোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনিই। তবে ফের একবার শিবির বদলে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনে ১২টি লোকসভা আসনে জেতে নীতীশের দল। এই আবহে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেয়েছেন নীতীশ। এই আবহে ভোটের ফল প্রকাশের পরই নীতীশের দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যসভা সাংসদ বিজেপিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং এক দেশ, এক নির্বাচনের মতো ইস্যুতে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন নীতীশ। তবে তার বদলে সেনায় অগ্নিপথ স্কিমে জওয়ান ভরতির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখার দাবি জানিয়েছেন নীতীশ। অগ্নিপথ প্রকল্পে বদল চেয়ে নাকি নীতীশ এর আগে আইন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছিলেন। এদিকে আরজেডি ইতিমধ্যেই নীতীশের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে বিশেষ মর্যাদা ইস্যুতে। নীতীশ দিল্লি আসার দিনে তাঁর সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন তেজস্বী। মাঝে তাঁদের মধ্যে কথাও হয়েছিল। (আরও পড়ুন: ৬% সুদ সহ বকেয়া ফেরাতে হবে, সুপ্রিম নির্দেশিকায় কান লাল রাজ্য সরকারের!)
আরও পড়ুন: জোটের চাপেও মোদীর 'ছাপ', বাধ্যবাধকতার মাঝে কোন বড় মন্ত্রকগুলি ছাড়তে নারাজ BJP?
আরও পড়ুন: সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিবাদ থাকলে আর এই কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মীর, বলছে আইন
আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষতে 'মলম' লাগাবে মোদী ৩.০? বেজিংকে নয়া বার্তা দিল্লির
তবে এই জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই কেসি ত্যাগীর দাবি নিয়ে মুখ খোলেন সঞ্জয় ঝা। এই জেডিইউ নেতা এবার বললেন, 'কোনও শর্ত নেই। আমরা সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিচ্ছি। বিহারে বিশেষ মর্যাদার মতো কোনও শর্ত নেই। কেসি ত্যাগী যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত হতে পারে।' এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাথমিক ভাবে নীতীশের জেডিইউ পাঁচটি মন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছিল। রেমন্ত্রকেরও দাবি জানিয়েছিলেন নীতীশ। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, লোকসভার স্পিকারের পদও চেয়েছিলেন নীতীশ। এদিকে এই সবের মাঝে জানা গিয়েছে, নীতীশ কুমারের দলের লালন সিং এবং রাম ঠাকুর এবারে মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।