এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট ছিল 'বিহারবান্ধব'! সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়েই একাধিকবার এই দাবি করা হয়েছে। এতে বিজেপি বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হলেও খুশি বিহারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তাই কেন্দ্রের প্রশাসনিক প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ওই বিহারের আইন প্রণেতারা।
এদিকে, শীঘ্রই বিহারে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে শুক্রবার মোদীর সঙ্গে রাজ্যের এনডিএ জনপ্রতিনিধিদের এই সাক্ষাৎ বা বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, বিহারে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া এনডিএ শিবির। তাই, মোদীর সঙ্গে বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে। যা আদতে ভোট প্রস্তুতির সূচনা হিসাবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারি ও বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই বাজেটে বিহারের জন্য প্রায় ৬০,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ ও ঘোষণা করেন নির্মলা।
বিহারের প্রাপ্ত প্রকল্পের ঝুলিতে রয়েছে - একটি নতুন বিমানবন্দর, একাধিক পরিকাঠামো সংক্রান্ত নির্মাণ, মাখনা বোর্ড গঠন করে মাখনা উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন বৃদ্ধি, পশ্চিম কোশি খাল ইআরএম প্রকল্পের জন্য বিশেষ আর্থিক সহযোগিতা - যার মাধ্যমে বিহারের মিথিলাঞ্চলের ৫০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে চাষবাসে নিযুক্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন।
নিন্দুকেরা বলছে, আসন্ন নির্বাচনে বিহারের মানুষের মন এবং ভোট পেতেই এত আয়োজন করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য হল, বিহারের জন্য সেটুকুই করা হয়েছে, যতটুকু সেখানকার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
বিহারে বর্তমান এনডিএ-র সরকার রয়েছে। যেখানে কেন্দ্রের প্রধান শাসকদল বিজেপির জোটসঙ্গীরা হল - জেডিইইউ, এলজেপি এবং হাম।
নীতীশ কুমারের জেডিইউ আগেই এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটের ভূয়সী প্রসংসা করেছে। তাদের বক্তব্য, এর আগে কংগ্রেস কখনও বিহারের প্রতি এতটা মনযোগ দেয়নি। আর সেই কারণেই উন্নয়নের নিরিখে বাকি রাজ্য়ের তুলনায় বিহার অনেক বেশি পিছিয়ে পড়েছে।
সবকিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিহারে বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় শাসকের আসনে বসতে এনডিএ ও INDIA-এর মধ্য়ে জোর টক্কর হতে পারে।
এদিকে, কেন্দ্রের নিরিখে দেখলে সংসদের নিম্ন কক্ষে (লোকসভায়) প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে বিজেপির বড় ভরসা নীতীশের জেডিইউ। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও নীতীশের নেতৃত্বেই পড়শি রাজ্যে ভোটের লড়াই লড়বে এনডিএ।