তামিলনাড়ুতে ভূমিধসের পর রবিবার রাত থেকেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিল উদ্ধারকারী দল। অবশেষে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক উদ্ধার হল একই পরিবারের সাত জনের দেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক দম্পতি সহ পাঁচ শিশু। সোমবার তিরুভান্নামালাইতে এনডিআরএফ এবং টিএনডিআরএফের দল তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। টানা ২০ ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কাজ চালানোর পর তাদের মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: ফেনজলের তাণ্ডবে ভূমিধসে চাপা পড়ল বাড়ি, তামিলনাড়ুতে নিখোঁজ একই পরিবারে ৭
পরিবারটি তিরুভান্নামালাইয়ের আন্নামালাই পাহাড়ের পাদদেশে বাস করত। ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের দাপটে অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাহাড়ে ধস নামে। তার ফলে বাড়িটি চাপা পড়ে যায়। ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার যে ৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজকুমার, তার স্ত্রী মীনা, তাদের দুই সন্তান এবং মীনার ভাইয়ের তিন সন্তান। ভূমিধসের সঙ্গেসঙ্গে প্রতিবেশীরা পুলিশ ও দমকলকে খবর দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে প্রথম দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন জেলাশাসক ডি বাস্কারা পান্ডিয়ান। সোমবার সকাল থেকে সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু করে এনডিআরএফ এবং টিএনডিআরএফ। অবশেষে সোমবার বিকেলের দিকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার হয়। উদ্ধারের পর দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টির ফলে অন্নামালাই পাহাড়ের পাদদেশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড় থেকে পাথরের চাঁই পড়ে ৩টি বাড়ি ভেঙে পড়ে। এদিন ৭ জনের দেহ উদ্ধার হওয়ায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যটিতে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৬ জনের মৃত্যু হল।
এদিকে, কৃষ্ণগিরি ও সালেম জেলায় রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ত্রাণ কাজ শুরু করার জন্য ২০০০ কোটি টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কৃষ্ণগিরি জেলার উথাঙ্গারাইতে ৫০ সেমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলা শাসক কে এম সরু জানান, সালেম-ইয়ারকাউড ঘাট সড়কে ভূমিধসের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সালেমেও একটানা বৃষ্টির ফলে রাস্তার পাশাপাশি একাধিক এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। ফেনজলের দাপটে কোয়েম্বাটুরের মেট্টুপালায়ম এবং এর আশেপাশে এলাকায় সোমবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় আজও বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।