কোনওরকম আলোচনা, সম্মতি ছাড়াই এনডিটিভির ২৯ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে আদানি গ্রুপ। এমনই দাবি করল সংবাদমাধ্যম। সেইসঙ্গে ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হয়েছে, 'কখনও সাংবাদিকতার সঙ্গে আপস করা হয়নি।'
মঙ্গলবার রাতে এনডিটিভির তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেডের (এএমএনএল) অধীনস্থ বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেডর তরফে একটি নোটিশ জারি করে জানানো হয় যে আরআরআরআর হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেডের (এনডিটিভি প্রোমোটার গ্রুপ) ইক্যুইটি শেয়ার নেওয়া হয়েছে। যে সংস্থার হাতে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার ছিল। দু'দিনের মধ্যে যাবতীয় ইক্যুইটি শেয়ারের হাতবদল করে দিতে বলা হয়েছে।
বিকেলের এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেডের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ক্ষমতা প্রয়োগ করে আরআরআরআর হোল্ডিং প্রাইভেট লিমিটেডের (এনডিটিভি প্রোমোটার গ্রুপ) ৯৯.৯ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার কিনে নিয়েছে এএমএলএনের অধীনস্থ বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড। তার ফলে বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেডের হাতে আরআরআরআরের মালিকানা চলে এসেছে। ২০০৯-১০ সালে এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা রাধিকা এবং প্রণয় রায়ের সঙ্গে ঋণ চুক্তির ভিত্তিতে বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে বলে এনডিটিভির তরফে জানানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে এনডিটিভির তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড যে ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না। এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতার কোনও অনুমতি, সম্মতি নেওয়া হয়নি। কোনও আলোচনাও করা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে এনডিটিভির তরফে দাবি করা হয়েছে, কখনও সাংবাদিকতার সঙ্গে আপস করা হয়নি।
কত টাকায় চুক্তি হচ্ছে বলে দাবি করেছে আদানি গ্রুপ?
বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) নথিভুক্ত আরআরআরআরের হাতে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার ছিল। আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়, ২০১১ সালের সেবির নিয়ম মেনে এইএল এবং এএমএনএলের সঙ্গে যৌথভাবে এনডিটিভির ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দেবে বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড। এক আধিকারিক বলেছেন, 'শেয়ার পিছু ২৯৪ টাকা দরে আরআরআরআর থেকে ২৯.১৮ শতাংশ মালিকানা কিনবে এএমএনএল। সার্বিকভাবে পুরো অধিগ্রহণের জন্য ৪৯৫ কোটি টাকা খরচ হবে।'