প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় রয়রা শেষ পর্যন্ত এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করল আদানি নিয়ন্ত্রিত সংস্থার হাতে। এর ফলে এই সংবাদসংস্থার অধিগ্রহণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল আদানিরা। কয়েকদিন আগেই এনডিটিভির আরও ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনার জন্য ‘ওপেন অফার’ দেওযার অনুমোদন পেয়েছিল আদানি নিয়ন্ত্রিত সংস্থা। এই আবহে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আদানিদের ‘ওপেন অফার’ জারি থাকবে। এর আগে অবশ্য এনডিটিভির তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, এনডিটিভির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির নিয়ম লঙ্ঘন করছে আদানি গোষ্ঠী। এনডিটিভির তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, কোনওরকম আলোচনা, সম্মতি ছাড়াই এনডিটিভির ২৯ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করেছে গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড।
এনডিটিভির বক্তব্য ছিল, তাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় এবং রাধিকা রায়ের উপর ২০২০ সাল থেকে ভারতের সিকিউরিটিজ মার্কেটে শেয়ার কেনা বা বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তাই আদানি গোষ্ঠীর কাছে তাঁরা কোনও শেয়ার হস্তান্তর করতে পারেন না। তবে এনডিটিভির অভিযোগ খতিয়ে দেখে সেবি জানিয়ে দেয়, এই লেনদেনে কোনও বেনিয়ম ছিল না। সেবি জানিয়ে দিয়েছিল, এনডিটিভির শেয়ার আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতেই পারে সংবাদসংস্থার প্রমোটর সংস্থা আরআরআর হোল্ডিং।
উল্লেখ্য, পরোক্ষভাবে ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে গৌতম আদানির মালিকাধীন এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড। পরবর্তীতে ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এনডিটিভির নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে আদানির হাতে। মোট ৪৯৫ কোটি টাকায় এনডিটিভির ২৬ শতাংশ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন আদানি। প্রসঙ্গত, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত আরআরআরআরের হাতে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ শেয়ার ছিল। সেই সংস্থার ৯৯.৯ শতাংশ ইক্যুইটি শেয়ার কিনে নেয় এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেডের অধীনস্থ বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড। শেয়ার পিছু ২৯৪ টাকা দরে আরআরআরআর থেকে এনডিটিভির ২৯.১৮ শতাংশ মালিকানা কেনে আদানির সংস্থা। ২০০৯-১০ সালে এনডিটিভির প্রতিষ্ঠাতা রাধিকা এবং প্রণয় রায়ের সঙ্গে ঋণ চুক্তির ভিত্তিতে বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল লিমিটেড এই অধিগ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। তবে এই নিয়ে এনডিটিভির তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত, রাধিকা এবং প্রণয়ের শেয়ার আদানিদের পকেটে চলে গেল।