NDTV-র অংশীদারিত্ব কিনে নেওয়ার দিকে এগোচ্ছেন গৌতম আদানি। এদিকে তাঁর এই অধিগ্রহণ রুখে দিতে চাইছে এনডিটিভিই। তাদের দাবি, নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বেনিয়ম করছে আদানি গোষ্ঠী।
এক স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে এনডিটিভি বলেছে, তাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রণয় এবং রাধিকা রায়ের উপর ২০২০ সাল থেকে ভারতের সিকিউরিটিজ মার্কেটে শেয়ার কেনা বা বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। তাই আদানি গোষ্ঠীর কাছে তাঁরা কোনও শেয়ার হস্তান্তর করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার আদানি গোষ্ঠী জানায়, তারা খবরের চ্যানেলটিতে একটি ক্ষমতাসম্পন্ন অংশীদারিত্ব চাইছে। এদিকে এই পদক্ষেপকে এনডিটিভি 'সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত' বলে দাবি করেছে। তাদের কথায়, এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি। নেওয়া হয়নি সম্মতিও।
এদিকে এই অংশীদারিত্ব কেনা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও। এমনিতেই আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের 'আঁতাতে'র অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সংবাদমাধ্যমের কন্ঠরোধের প্রচেষ্টারও অভিযোগ তুলতে শুরু করেন তাঁরা।
NDTV যে বিধিনিষেধের কথা বলছে:
২০২০ সালে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার আদেশে বলা হয়, ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রণয় ও রাধিকা রায় ভারতীয় শেয়ার বাজারে লেনদেন করতে পারবেন না। কেন? কারণ সেবির তদন্তে দেখা গিয়েছিল যে, তাঁরা NDTV-র শেয়ারের সন্দেহজনক অভ্যন্তরীণ লেনদেনের মাধ্যমে অনায্য পথে মুনাফা করেছিলেন।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
'এটি প্রক্রিয়াটি স্থগিত বা ধীর করার জন্য এনডিটিভি-র একটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। তবে, এটি যে অধিগ্রহণ বন্ধ করবে, সেই সম্ভাবনা কম,' বলছেন ভারতীয় আইন সংস্থা পাইওনিয়ার লিগ্যালের অংশীদার পৃথা ঝা।
এনডিটিভি-র শেয়ার বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ অনুমোদিত সীমা অনুযায়ী ৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিষয় অনেক গভীর
আদানির এই পদক্ষেপের কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্য বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল প্রাইভেট লিমিটেড (ভিসিপিএল) নামের একটি পরিচিত সংস্থা। ২০০৮ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত। এই সংস্থার থেকেই প্রণয় রায় কয়েক বছর আগে ৪ বিলিয়ন টাকা ৪০০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন। বিনিময়ে ইক্যুইটি শেয়ারে ট্রান্সফারেবল ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল।
এদিকে আদানি গ্রুপ এই বিশ্বপ্রধান কমার্শিয়াল প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থাকে এখন কিনে নিয়েছে। আর তারপরেই ঋণের টাকা পুনরদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে।