গুজরাটে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র কাছে এক হাড়হিম করা কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র কাছে এক জঙ্গল সাফারিতে ঢুকে পড়েছিল এক লেপার্ড। আর সেই লেপার্ড শিকার করে এক কৃষ্ণসার হরিণকে। রিপোর্ট বলছে, এরপর সেই ঘটনার আকস্মিকতায় ‘শক’ পেয়ে ৭ হরিণের মৃত্যু হয়েছে। এমন করুণ ঘটনা বহু পশুপ্রেমীকেই হতবাক করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১ জানুয়ারি রাতে। স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র কাছে এক জঙ্গল সাফারিতে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে জানা যায়। সেখানে আগে পশুপ্রাণী আহত হয়েছে, বা মারাও গিয়েছে, তবে কোনও পশু অন্য়কে শিকার করেনি। এই প্রথম সেখানে লেপার্ডের শিকার এক কৃষ্ণসার হরিণ। এমনকি এভাবে কোনও হিংস্র জন্তুর প্রবেশও আগে দেখা যায়নি সেখানে। বিশ্বের সর্বোচ্চ এই মূর্তির কাছে এই জঙ্গল সাফারি পর্যটকদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়।
বনদফতরের ডেপুটি কনসারভেটর অগ্নিশ্বর ভ্যাস বলছেন, বর্তমানে যেটি একতা নগর, সেটি আগে ছিল কেভাড়িয়া। এই কেভাড়িয়ার আশপাশে থাকা জঙ্গলে ক্রমেই বাড়ছে লেপার্ডের সংখ্যা। অনেক সময়ই রাতে তাদের দেখা যায়। তবে সাফারি পার্কে এই ঘটনার আগে কোনও লোপার্ডকে দেখা যায়নি। এই প্রথমবার লেপার্ড এভাবে সাফারি পার্কে এসেছে। তিনি বলছেন, ‘হঠাৎ করে ঘেরাটোপের জায়গায় লেপার্ডের এভাবে ঢুকে পড়া পশু পাখীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।’ তিনি আরও জানান,'ডিউটিতে থাকা রক্ষীদের দ্বারা এটিকে তাড়ানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, চিতাবাঘটি একটি কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিল, যখন বিশৃঙ্খলার কারণে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।'
উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হরিণ, একটি বিরল প্রজাতির হরিণ। আর সেই হরিণ গোষ্ঠীর ওপর লেপার্ডের এই হানা ঘিরে ওই সাফারির নিরাপত্তা নিয়েও নানান প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হচ্ছে, সাফারির সীমানা পার করে ওই লেপার্ড ঢুকে পড়েছিল। আশপাশেই রয়েছে শূলাপানেশ্বর অভয়ারণ্য। সেখানে বহু সংখ্যক লেপার্ড রয়েছে। উল্লেখ্য, এই সাফারি পার্কে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলে সিসিটিভি দিয়ে। তবে সিসিটিভিতে লেপার্ড দেখা মাত্রই গার্ডরা সতর্ক হন। তারপর লেপার্ডকে তাড়াও করা হয়। জানা যায়, প্রথমে লেপার্ড একটি কৃষ্ণসার হরিণকে শিকার করে। পরে ৭ টির মৃতদেহ পাওয়া যায়।