দিল্লিতে ১০ লাখ মদ্যপায়ী। তার মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৫৫ হাজারের বেশি! সমীক্ষার পর এই রিপোর্টের কথা প্রকাশ্যে এনেছে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। আর তাতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই সমীক্ষাটি করেছে দিল্লি এইমসের অন্তর্গত ন্যাশানাল ড্রাগ ডিপেন্ডেন্স ট্রিটমেন্ট সেন্টার। সেখানেই এই তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি ১১ লাখ মানুষ মাদক দ্রব্য ক্যানাবিস–এ আসক্ত। এই পরিস্থিতি ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের আধিকারিকদের। এই বিষয়ে সামাজিক মন্ত্রকের মন্ত্রী মদন সাহনি বলেন, ‘এই অবস্থার মোকাবিলা করতে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান গঠন করা হয়েছে। মাদক সেবনের আধিক্য কমাতেই তা গঠন করা হয়েছে। এমনকী দ্বারভাঙার সাইকেল গার্ল জ্যোতি কুমারিকে মাদক–বিরোধী ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছে।
এই ন্যাশানাল অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে সচেতনতা এবং নেশা বিরোধী শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়। এটা তো করা হবেই, তার সঙ্গে থাকছে নেশারু ও মাদকাসক্তদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা। নতুন প্রজন্মের কাছে মাদক জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এই নেশা কোনও মধ্যবিত্ত বা নিম্ন–মধ্যবিত্তদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে এমন নয়। অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অপরাধ ও মানুষ পাচার বলে জানান সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী।