পাখিদের মলমূত্র থেকে করোনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় বাড়িতে থাকা বাঁশ গাছ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অসমের টাংলা টাউন কমিটি। এতেই বিপত্তি। স্থানীয় টাউন কমিটি এরপর যে বাড়িতে বাঁশ গাছ রয়েছে সেগুলিকে কাটা শুরু করে। এদিকে সেই বাঁশ গাছেই বাসা বেঁধেছিল নানা ধরনের ইগ্রেট, করমোরান্ট জাতীয় পাখি। গাছ কেটে ফেলার ফলে তাদের বাসা ভেঙে যায়। শয়ে শয়ে পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে মারা যায়। প্রচুর ডিমও নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে নির্দেশে বলা হয়েছিল, বকেদের বিষ্ঠা থেকে করোনা ছড়াতে পারে। সেকারণে নিজের সম্পত্তির মধ্যে থাকা বাঁশ গাছ যেখানে এই ধরণের পাখি বাসা বাঁধছে সেই গাছগুলিকে কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই গাছ কাটতে এগিয়ে আসে টাউন কমিটি। এদিকে সেই ঘটনার ছবিতে দেখা যাচ্ছে শয়ে শয়ে পাখির বাচ্চা মাটিতে পড়ে রয়েছে। এদিকে গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার।
শুক্রবার উদলগিরির ডেপুটি কমিশনার পি উদয় প্রবীন এলাকা পরিদর্শন করেন। গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির জন্য তিনি সার্কেল অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, শুক্রবার ৮৮টি পাখির বাচ্চা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এগুলিকে কাজিরাঙার বন্যপ্রাণ পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পাখিগুলিকে যত্নে রাখার জন্য স্থানীয়দের বলা হয়েছে। আর বাঁশ গাছ না কাটার ব্যাপারে বলা হয়েছে।