অন্তিম পর্যায়ের ভোটের আগে জনসংযোগের চেষ্টায় কোনও কসুর করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারে করোনাকালে জনসভা করার পর এবার তিনি খোলা চিঠি লিখলেন রাজ্যের মানুষের কাছে। সেখানে নীতিশ কুমারকে জেতানোর আর্জি করলেন বিহারবাসীর কাছে।
মোদী বলেন যে তিনি বিহারের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। শুধু তাঁর দরকার নীতিশ কুমারকে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ হয়। ডবল ইঞ্জিন, অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্যে একই জোট থাকলে বিহার উন্নয়নের নয়া উচ্চতায় যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোদী।
তিনি বলেন যে বিহারে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এনডিএ ভালো কাজ করেছে। জাতপাত নয় বিকাশ, কুশাসন নয় সুশাসন, দুর্নীতি নয় সততা তাঁদের মন্ত্র বলে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন যে ভাবে মানুুষ করোনাকালেও ভোট দিতে আসতেন, তাতে আরও ভালো করে কাজ করবার উৎসাহ পাচ্ছেন।
২০০৫ সালের পরেই বিহারে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন এতদিন বেসিক পরিকাঠামো গঠন হয়েছে, এবারের মানুষের স্বপ্ন পূর্ণ করার কাজ হবে। প্রায় চার পাতার হিন্দিতে লেখা চিঠিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিহারের জন্য কী কী করেছে, তার বিস্তারিত ফিরিস্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে ঘুরেফিরে এসেছে অতীতে অরাজকতা ও খারাপ আইনশৃঙ্খলার প্রসঙ্গ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেড় দশক ধরে প্রায় একটানা ক্ষমতায় থাকার পর প্রবল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়ার মুখোমুখি নীতিশ কুমার। যদিও প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা অটুট। অন্যদিকে ক্রমশই দীপ্ত হয়ে উঠছেন তেজস্বী। সেই কারণেই লালু আমলে যে জঙ্গলরাজ ছিল ও বিহারের হাল রুগ্ন ছিল, সেই কথা বারবার করে ভোটারদের মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে। নির্বাচনী জনসভায় ভাষণের পর মোদীর চিঠিতেও সেই থিম স্পষ্ট যে বিকল্প অরাজকতা তাই আমাদের ভোট দিন। বিহারের মানুষ আদৌ এই প্রচারের পন্থায় সাড়া দেন কিনা, তার ফয়সলা হবে ১০ নভেম্বর।