ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি প্রকাশিত নিট পরীক্ষার ফলাফলে গরমিলের অভিযোগে দায়ের করা ১৯ জন পরীক্ষার্থীর করা তদন্তের আবেদন শুনতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট।
স্কুল পরীক্ষায় শীর্ষস্থান দখল করলেও নিট পরীক্ষার অপটিকাল মার্ক রেকগনিশন শিট শুন্য থাকায় অথবা তাঁদের দেওয়া প্রশ্নের সঙ্গে শিটে দেওয়া নম্বরের মিল না পাওয়ায় আদালতে অভিযোগ জানান পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগিতকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায়, পরীক্ষার্থীদের সমস্যা এবং তার জেরে তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার বিষয়টি বোঝা গিয়েছে।
দুই আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা ও গোপাল শংকর নারায়ণ ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ করেন এবং তার প্রেক্ষিতে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন জানান। অন্যথায় এনটিএ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আসল ওএমআর শিট তার কার্বন কপির সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যও তাঁরা আর্জি জানান।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানায়, ’১৫ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী ২০২০-২০২১ সালের এই পরীক্ষা দিয়েছেন। এমনকি কাউন্সেলিংয়েরদ্বিতীয় দফাও সম্পূর্ণ হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩২ নম্বর পরিচ্ছেদ অনুসারে দায়ের করা কয়েক জন পরীক্ষার্থীর আবেদন আমাদের পক্ষে আর শোনা সম্ভব নয়।’
এর আগেও বহু পরীক্ষার্থী ওএমআর শিট পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে এনটিএ-র দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, ‘কয়েক জন আবেদনকারীর দাবি মেনে আসল ওএমআর শিট যাচাই করে দেখবে এনটিএ।’
একই সঙ্গে ভবিষ্যতে কোনও অভিযোগ থাকলে হাই কোর্টে যাওয়ার অনুমোদনও দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতে জমা দেওয়া আবেদনে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ওএমআর শিট এবং আনসার কি যাচাই করার গোটা প্রক্রিয়াই ত্রুটিপূর্ণ ও বিবেচনাহীন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবর এনটিএ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ওএমআর শিটে থাকা প্রতিটি উত্তর যাচাইয়ের জন্য ১,০০০ টাকা ফি ধার্য করার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তোলেন পরীক্ষার্থীরা।