আবসার কাজি
ভালো পরীক্ষা দেওয়া সত্ত্বেও কম নম্বর পেয়েছিলেন। ‘অ্যানসার কি’-র ভিত্তিতে চ্যালেঞ্জ করতেই নম্বর প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার তফসিলি উপজাতি ক্যাটেগরিতে সর্বভারতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) হয়েছেন। এমনই দাবি করেছিলেন এক প্রার্থী। তবে সেই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পুরোটাই ভুয়ো।
গত ১৬ অক্টোবর নিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তারপর সোমবার রাতে রাজস্থানের সওয়াই মাধোপুরের গঙ্গাপুর সিটির মৃদুল রাওয়াত (১৭) দাবি করেন, ৭২০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ৩২৯ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেদিনই নিটের প্রকাশিত ‘অ্যানসার কি’ মিলিয়ে দেখেন, তাঁর ৬৫০ নম্বর পাওয়ার কথা। মুদৃল বলেন, ‘এনটিএ-এর ফলাফলে আমি যা নম্বর পেয়েছিলাম, তা কার্যত ফেলের সামিল ছিল। কারণ সেই নম্বরে আমি কোনও মেডিক্যাল কলেজে ভরতি হতে পারতাম না। ৬৫০ নম্বর পেয়ে নিটের বাধা টপকানোর বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কিন্তু নিটের ফলাফলে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। কান্নাকাটি করেছিলাম এবং অবসাদে ভুগছিলাম।’
মুদৃল দাবি করেন, বাবা-মা'র কথায় রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। এনটিএকে টুইট করার পর ভুল সংশোধন করা হয়। তিনি বলেন, ‘এনটিএ যখন নিজেদের ভুল স্বীকার করে সঠিক রেজাল্ট প্রকাশ করে, তখন আমার হতাশা আনন্দে পরিণত হয়। তাতে আমি ৬৫০ নম্বর পাই এবং তফসিলি উপজাতি ক্যাটেগরিতে সারা ভারতে প্রথম স্থান দখল করেছি।’ সার্বিকভাবে সারা ভারতে ৩,৫৭৭ তম স্থানে আছেন বলে দাবি করেছিলেন মুদৃল।
তবে মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে এনটিএ। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, ‘একজন প্রার্থী দাবি করেছেন, তিনি ৬৫০ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু নিটের রেজাল্টে ৩২৯ আছে। এনটিএয়ের নাম করে যে ইমেল করা হয়েছে, তাও ভুয়ো।’ একইসঙ্গে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুরোটাই বানানো। সেজন্য তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় নয়ডায় সাইবার সেলের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রার্থীর প্রকৃত সমস্যা থাকলে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছে এনটিএ।