কেরলে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১০০ ছাত্রী সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার আগে তাঁদের ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। এই আবহে বড় সিদ্ধান্ত নিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। যে সব মহিলা পরীক্ষার্থীর অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল, তাদের নতুন করে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্টে বসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে অন্তর্বাস বিতর্কে জড়িয়ে পড়া পরীক্ষার্থীদের ই-মেল করে নয়া পরীক্ষার দিনক্ষণ জানিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। গত জুলাই মাসে কেরলের কোল্লামের চথামঙ্গলমে একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের অন্তর্বাস খুলতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল ৭ জন অভিযুক্তকে। পরে অবশ্য ধৃতরা সবাই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
অভিযোগ, কেরলের পরীক্ষাকেন্দ্রে সিকিউরিটি চেক করার সময় ব্রা-এর মেটাল হুক মেটাল ডিটেকশন মেশিনে চিহ্নিত হয়। তাতে ‘বিপ’ আওয়াজ হয়। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা মেয়েদের তাঁদের ব্রা খুলে টেবিলেই রেখে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধ্য করে। এই প্রসঙ্গে এক ছাত্রী সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। তারপরই তোলপাড় শুরু হয়েছিল। অভিযোগকারী বলেছিলেন, ‘তারা আমাদের ব্রা খুলে একটি টেবিলের উপর রাখতে বলল। সব ব্রা একত্রিত করা হয় সেখানে। আমরা যখন পরীক্ষা শেষে ফিরে এলাম তখন ভিড় ছিল। কিন্তু আমি আমার ব্রা খুঁজে পেয়েছিলাম। তারা আমাদের ব্রা হাতে নিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। কথাটা শুনে আমরা খুবই বিব্রত হয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ব্রা পরার জন্য অপেক্ষা করে সেখানেই। সেখানে অন্ধকার ছিল এবং জামা পালটানোর কোনও জায়গা ছিল না...’