অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে পাশ করতে পারেননি ১৯ বছর বয়সি জগদীশ্বরন। তবে সেই পরীক্ষায় পাস করতে না পারার হতাশায় চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই ছাত্র। আর পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের মৃত্যুর পরে তামিলনাড়ুর চেন্নাইতে ওই ছাত্রের বাবারও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সেলভাসেকর। মনে করা হচ্ছে পুত্রশোক সহ্য করতে পারেননি তিনি। এরপর তিনিও আত্মহত্যা করেন।
তামিলনাড়ু মুখ্য়মন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আবেদন করেছেন, এভাবে মৃত্যুর পথ বেছে নেবেন না। নিজের উপর আস্থা রাখুন। জীবনকে বাঁচান।
দুটি মৃত্যুই অত্যন্ত মর্মান্তিক। ক্লাস টুয়েলভে ৪২৭ পেয়েছিলেন জগদীশ্বরন। এরপর পর পর দুবার তিনি নিট পরীক্ষা দেন। কিন্তু পাশ করতে পারেননি। এরপর হতাশায় ডুবে যান। তবে কি বাবা মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পেরেই তিনি এভাবে চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন?
গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত ১৩ অগস্ট ওই ছাত্রের বাবা জানিয়েছিলেন, দুবার নিট পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি ছেলে। এরপর তিনি আবার ছেলেকে কোচিং সেন্টারে ভর্তি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন নিট পরীক্ষা বাতিল করা হবে কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমার আর কোনও সন্তান নেই। আর কাউকে তো এটা ভুগতে হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এটা নিয়ে ভাবা দরকার।
কিন্তু তারপরেও সন্তানকে হারিয়ে আর কোনও দিশা পাননি ওই পরীক্ষার্থীর বাবা। ১৪ অগস্ট সোমবার তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার পরেই বিশেষ বার্তা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের। তিনি জানিয়েছেন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হও। যেকোনও পরিস্থিতিতেই নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার কথা ভেব না। নিশ্চিতভাবে আমরা নিটকে সরিয়ে দেব। এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে এই পরীক্ষা তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে দিচ্ছে না। তামিলনাড়ু সরকার এব্যাপারে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।