ফিজিক্সে পার্সেন্টাইল স্কোর ৮৫.৫, আর সেখানে কেমিস্ট্রিতে পার্সেন্টাইল স্কোর হল পাঁচ- সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় (NEET-UG) এমনই ফলাফল করেছে বিহারের প্রার্থী অনুরাগ যাদব। যে অনুরাগকে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অনুরাগ ছাড়াও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়া আরও এক প্রার্থীর রেজাল্টে এরকম উদ্ভট স্কোর ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই প্রার্থীর বায়োলজিতে পার্সেন্টাইল স্কোর হল ৮৭.৮। সেখানে ফিজিক্স এবং কেমিস্ট্রির ফিজিক্সে পার্সেন্টাইল স্কোর হল যথাক্রমে ১৫.৫ এবং ১৫.৩।
আর একজন প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বরের এরকম তারতম্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কিছু একটা তো হয়েছে। আর সেটা স্বীকার করে নিয়েছে অনুরাগ। নিট প্রার্থী স্বীকার করে নিয়েছে যে পরীক্ষার একদিন আগেই সে প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিল। তাঁর সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক হল ১০,৫১,৫২৫। আর অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) প্রার্থীদের মধ্যে তার র্যাঙ্কিং হল ৪,৬৭,২৪।
আরও একজনের নম্বরে মারাত্মক তারতম্য ধরা পড়েছে
অনুরাগের সঙ্গে আরও কমপক্ষে তিনজন আগেই প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজন ৭২০-তে ৩০০ পেয়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়োলজিতে পার্সেন্টাইল স্কোর হল ৮৭.৮। সেখানে ফিজিক্সে পার্সেন্টাইল স্কোর ১৫.৫-তে ঠেকেছে। আর কেমিস্ট্রির পার্সেন্টাইল স্কোর ১৫.৩। বাকি দু'জন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অবশ্য নম্বরের এত বৈষম্য দেখা যায়নি। তারা মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট স্তরে নম্বর পেয়েছে।
বিহারের প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী
যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিট এবং ইউজিসি-নেট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নির্দিষ্টভাবে বিহারের ধৃত প্রার্থীর স্বীকারোক্তি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান যে বিহার পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পরে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে বিহার পুলিশ। ইতিমধ্যে তদন্ত অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। দোষী কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত অঞ্চল থেকে অভিযোগ সামনে এসেছে। ইউজিসি-নেটের মতো কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সেই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা যে বাতিল করা হবে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়াও চলবে।