ফের কি নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে? সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তিনটি প্রশ্নের উত্তর চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে নতুন করে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) নেওয়া হবে কিনা, তা ওই বিষয়গুলির উপর নির্ভর করছে। সেইসঙ্গে নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) থেকে আরও তিনটি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে শীর্ষ আদালত। সার্বিকভাবে বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে হলফনামা দাখিল করে এনটিএকে যাবতীয় তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে হলফনামা দাখিল করতেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর আগামী বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সেই নিট মামলার শুনানি হবে।
নতুন করে NEET পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হবে?
সোমবার নিট মামলার সওয়াল-জবাবের পরে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়া হবে কিনা, সেটা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের উপরে নির্ভর করছে। প্রথমত, সার্বিকভাবে অনিয়ম হয়েছে কিনা, দেখতে হবে। দ্বিতীয়ত, যে অনিয়ম হয়েছে, সেটা কি এমন হয়েছে, যে কারণে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়ার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে।
তৃতীয় যে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সেটা হল যে প্রার্থীরা কারচুপি করেছেন, তাঁদেরকে কি সৎ পরীক্ষার্থীদের থেকে আলাদা করা যাবে? শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যদি সার্বিকভাবে পরীক্ষায় অনিয়মের ঘটনা ঘটে এবং জালিয়াতি করা প্রার্থীদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু যদি জালিয়াতি করা প্রার্থীদের চিহ্নিত করা যায়, তাহলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
NTA-কে ৩টি বিষয় নিয়ে তথ্য জানাতে হবে
১) কখন প্রথম প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল?
২) কীভাবে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো হয়েছিল?
৩) প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া এবং পরীক্ষা হওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান কত ছিল?
আরও পড়ুন: NEET UG 2024 পরীক্ষা বাতিল না করলে কীভাবে সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করবেন? সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ
ভবিষ্যতে নিটে কারচুপি রুখতে বিশেষ টিম গঠনের নির্দেশ
আগামিদিনে যাতে নিটের ক্ষেত্রে কোনও কারচুপি না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি বিশেষ টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নিটের ক্ষেত্রের এবার যে ঘটনা ঘটেছে, সেটা যাতে আগামিদিনে না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটিতে কারা আছেন, তা জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে। শীর্ষ আদালতই ঠিক করবে যে ওই কমিটি ঠিক আছে কিনা।