শিশুদের জীবনদায়ী টিকা না দেওয়ার ফলে ফিরে আসতে পারে একাধিক মারণব্যাধি, যার জেরে বাড়তে পারে শিশুমৃত্যুর হার। সম্প্রতি ভারতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া এড়ানোর প্রবণতায় ক্রমে বাড়ছে সেই আশঙ্কা, জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শৈশবের নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি এবং ডায়েরিয়ার মতো প্রায় বিলুপ্ত রোগ ফের হানা দিতে পারে প্রশাসন ও অভিভাবকদের উদাসীনতার জেরে। ২০১৭ সালে শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১০০০ এ ৩৩, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০০০ এ ৩৪। এই হিসাবের ভিত্তিতেই প্রকট হচ্ছে দেশের সার্বিক জনস্বাস্থ্যের হাল।
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশানার দিকে এগিয়ে চলেছে ভারত। কিন্তু শৈশব টিকাকরণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে যাওয়ার ফলে শিশুমৃত্যুর বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে বেশ কিছু রাজ্যে শিশুদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। মহামারী নিয়ে ব্যতিব্যস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের এই সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের টিকা সুনিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ানোর ফলেই এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিকর্তা তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসাস জানিয়েছেন, ‘Covid-19 এর টিকা সন্ধানের হুড়োহুড়ির মাঝে আমরা যেন সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথাটি ভুলে না যাই। টিকার সাহায্যে যে সমস্ত রোগ প্রতিহত করা যায়, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। টিকাকরণ প্রক্রিয়া এড়িয়ে গেলে সেই সমস্ত রোগ ফের মাথাচাড়া দেবে।’
এই কারণে শিশুরোগ প্রতিরোধে টিকারণ প্রক্রিয়া সাময়িক স্থগিত থাকলে তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চালু করার জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছে ‘হু’।