ছিনতাইয়ের পর প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ তাড়া করে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ছিনতাইবাজকে ধরে ফেললেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি এক প্রবীণ মহিলার গলার হার ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন! এরপর ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশের হাতে তুলে দেন।
সোমবার তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লির এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, যে প্রবীণ মহিলার গলা থেকে সোনার হার ছিনতাই করার অভিযোগ ওঠে, তিনি একটি স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই প্রবীণার নাম জে লিলি রানি এবং তাঁর বয়স ৬৪ বছর। তিনি মনপ্পরাইয়ের কাছে ভাইয়ামপট্টি এলাকার দিনদিলগুল রোডে থাকেন। সোমবার সকালে নিজের বাড়ির সামনের অংশের উঠোনটি ঝাঁট দিচ্ছিলেন লিলি।
সেই সময়েই সেখানে একটি টু-হুইলারে চেপে হাজির হন ৩৭ বছরের কে কুমার। তিনি দিনদিনগুল জেলার ওড্ডানচন্ত্রমের কান্নিভাড়ি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, কুমার হেলমেট পরা অবস্থাতেই প্রথমে নিজের বাইক থেকে নামেন। তারপর লিলিকে তিনি একটি বিশেষ জায়গায় যাওয়ার রাস্তা জিজ্ঞেস করেন। ঠিক এই সময়েই তিনি লিলির গলা থেকে তাঁর সোনার হারটি ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন!
কিন্তু, লিলি শক্ত করে নিজের হারটি ধরে রাখেন। যদিও পরে সেটি ছিঁড়ে যায় এবং তার একাংশ মাটিতে ছিটকে পড়ে। দু'টুকরো হয়ে যাওয়া সেই হারের একটি টুকরো নিয়েই চম্পট দেন কুমার! হারের বাকি অংশ লিলির কাছেই থেকে যায়।
এদিকে, লিলির চিৎকার চেঁচামিচিতে তাঁর প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বাইক, স্কুটার নিয়ে কুমারের পিছনে তাড়া করেন।
এদিকে, ধরা পড়ার ভয়ে দ্রুত বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসেন কুমার। বাইকের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়িতে ধাক্কা মারেন তিনি।
এরপর সেখানেই নিজের বাইক ফেলে রেখে গাছগাছালিতে ভরা স্থানীয় জায়গায় লুকোনোর চেষ্টা করেন কুমার। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
লিলির প্রতিবেশীরা একসঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে কুমারকে খুঁজে পেয়ে যান এবং তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনার পর কুমারকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারণ, দুর্ঘটনার জেরে তাঁর শরীরে একাধিক আঘাত লেগেছিল। পুলিশ তাঁর বাইকটি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।