কানপুরের সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে লুকোনো ধনে চোখ কপালে উঠেছে আয়কর আধিকারিকদের। পীযূষের বাড়িতে এত পরিমাণ ধনের হদিশ মেলায় হতবাক তাঁর প্রতিবেশীরাও। তাঁদের কথায়, পীযূষ খুবই মুখচোরা ছিলেন। তিনি অন্য ব্যবসায়ীদের মতো গাড়িতেও ঘুরে বেরাতেন না। একটি স্কুটারে করেই যেতেন যেখানে যাওয়ার। কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলেও চপ্পল পরে চলে যতেন। দামী জামা পরার কোনও বালাই ছিল না। এহেন পীযূষের বাড়িতে এত টাকা লুকোনো রয়েছে জানতে পেরে অবাক তাঁরা।
ছিপাট্টি এলাকায় ১৫ বছর আগেও পীযূষ তাঁর দুই ভাই-বোনের সঙ্গে থাকতেন দুই কামরার এক বাড়িতে। পরে অবশ্য ধীরে ধীরে উপার্জন বাড়তে পীযূষ ও তাঁর ভাই দুটি পাশাপাশি বাড়ি কিনে সেটাকে সংযুক্ত করেন। সেই বাড়িতেই প্রায় ২০০ কোটি টাকা নগদ লুকিয়ে রেখেছিলেন পীযূষ। পীযূষের ধন খুঁজে বের করতে লখনউ থেকে বড় এক্স-রে মেশিন আনা হয়। ৮৪ ঘণ্টা ধরে লাগাতার কাজ করেন ৩৪ জন আধিকারিক।
১৯৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর আরও ১২৫ কেজি সোনা এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে পীযূষের বাড়ি থেকে। এখনও পর্যন্ত, ডিজিজিআই অভিযানে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ বের করা হয়েছে। কনৌজে পীযূষের বাড়ির দেয়াল থেকে সোনার খসে পড়ছে আর মাটির তলা থেকে নগদ টাকার বান্ডিল বেরিয়ে আসছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিপ্পট্টিতে অবস্থিত তাঁর বাড়িতে ১২৫ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। ডিজিজিআই অফিসাররা ৫০টিরও বেশি ব্যাগে ৩৫০টি ফাইল এবং ২৭০০টি নথি ঢুকিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছেন। পীযূষের বেডরুমের খাটের ভিতর থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রুমের খাটের নিচে লকারও পাওয়া গিয়েছে।