বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > 'দিল্লি দাঙ্গায় কোনও হিন্দু বা মুসলিম মারা যাননি, মৃত্যু হয়েছে ৫২ জন ভারতীয়র'

'দিল্লি দাঙ্গায় কোনও হিন্দু বা মুসলিম মারা যাননি, মৃত্যু হয়েছে ৫২ জন ভারতীয়র'

বুধবার সংসদে দিল্লি হিংসা নিয়ে বলছেন অমিত শাহ

অমিত শাহ বলেন, দিল্লির দাঙ্গা পরিকল্পিত। তাঁর তত্ত্ব প্রমাণে এদিন একগুচ্ছ প্রমাণও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, দাঙ্গার সময় ফেসবুকে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

দিল্লি হিংসায় জড়িতরা কেউ ছাড় পাবে না। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করছে পুলিশ প্রশাসন। বুধবার সংসদে দিল্লি হিংসায় নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে একথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, ‘হিন্দু বা মুসলমান নয়, দিল্লি হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ৫২ জন ভারতীয়র।’

বুধবার লোকসভায় ছিল দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা। এদিন ভাষণের শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লি হিংসায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। ঘটনায় শোক প্রকাশ করে তিনি কেন হোলির পর এই নিয়ে আলোচনার জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করেছে তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। বলেন, হোলিতে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর ইতিহাস রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এ নিয়ে হোলির আগে আলোচনা চায়নি সরকার।

এদিন দাঙ্গা মোকাবিলায় দিল্লি পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন অমিত শাহ। বলেন, দাঙ্গা শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনে দিল্লি পুলিশ। সেজন্য তাদের বাহবা প্রাপ্য।

অমিত শাহ বলেন, দিল্লির দাঙ্গা পরিকল্পিত। তাঁর তত্ত্ব প্রমাণে এদিন একগুচ্ছ প্রমাণও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, দাঙ্গার সময় ফেসবুকে প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। যা দাঙ্গা থামার কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়েব হয়ে যায়।

অমিত শাহ জানিয়েছেন, দাঙ্গাকারীদের চিহ্নিত করতে সফটওয়্যার ব্যবহার করছে দিল্লি পুলিশ। তাতে ১,১০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সফটওয়্যার ব্যবহার হওয়ায় ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রত্যেক দাঙ্গাকারীকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করবে দিল্লি পুলিশ।

নাম না করে এদিন সনিয়া গান্ধীকে বেঁধেন শাহ। বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে CAA বিরোধী সভা করে একটি দল। সেই দলের এক নেত্রী ওই সভা থেকে বলেন, এটা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এখন রাস্তায় না নামলে আর কবে নামবেন? ওয়ারিশ পাঠানের বিতর্কিত মন্তব্যেরও এদিন সংসদে উল্লেখ করেন শাহ।

অমিত শাহ জানিয়েছেন, দেশের সব থেকে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল উত্তর – পূর্ব দিল্লি। সেখানে কী করে দাঙ্গা এত তাড়াতাড়ি ছড়াল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে কারও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে মামলা রুজু করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে কার অ্যাকাউন্টে কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে কত টাকা ঢুকেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।

সঙ্গে শাহ আস্বস্ত করে জানিয়েছেন, যাদের দোকান পুড়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। সেজন্য ভিডিয়োগ্রাফি করে ক্ষয়ক্ষতির অনুমান করা হচ্ছে।

এদিন কংগ্রেস জমানায় দাঙ্গার প্রসঙ্গও তোলেন শাহ। মনে করান দিল্লিতে শিখ বিরোধী দাঙ্গার কথা।



বন্ধ করুন